নামাজ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শাহজালাল মাজারে বিক্ষোভ, ট্যুরিস্ট পুলিশ অবরুদ্ধ
Published: 31st, January 2025 GMT
সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারের গেটে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের এক কনস্টেবল নামাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা। আজ শুক্রবার রাত নয়টার দিকে মাজার প্রাঙ্গণে তারা বিক্ষোভ করে ওই কনস্টেবলের শাস্তি দাবি করেন। ওই সময় ক্ষুব্ধ মুসল্লি ও দর্শনার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা করারও চেষ্টা করেন। পরে হামলা ও তোপের মুখ থেকে রক্ষা পেতে তারা আশ্রয় নেন দরগা মাদ্রাসার অফিস কক্ষে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার টার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এশার নামাজে আসা মুসল্লি ও মাজার জিয়ারতকারীরা সমকালকে জানান, মাজারের মূল গেটে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ‘কোরআনে নামাজের কথা উল্লেখ নেই ও নামাজ পড়ে কী লাভ’- এমন মন্তব্য করেন। তার ওই কথা শুনে একজন মুসল্লি প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে অন্য মুসল্লি ও মাজারে আগত লোকজন একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ ও মারমুখি হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য দরগা মাদ্রাসার অফিসে আশ্রয় নেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাডভোকেট নোমান আহমদ সমকালকে জানান, একজন পুলিশ সদস্যের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মুসল্লি ও মাজার জিয়ারতকারীরা তার শাস্তি দাবি করেছেন।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, মাজারে মুসল্লিরা বিক্ষোভ করেছেন। তবে কী কারণে করছেন সেটা নিশ্চিত নয়। নামাজ নিয়ে কটূক্তি করার বিষয়টা শোনা গেছে। অন্য বিষয়ও জড়িত থাকতে পারে। খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেছেন।
এদিকে রাত দশটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তারা মুসল্লিদের শান্ত করে মন্তব্যকারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে মুখ খুলেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার পর নিজ ফেসবুকে পেইজে বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে আসিফের দেওয়া পোস্টটি তুলে দেওয়া হলো- প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। গতকাল রাত ৯টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম।
তিনি পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম। আমার বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোন কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।