নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান কবি, সাংবাদিক লিজা কামরুন্নাহারের নতুন কবিতার বই “অন্তর্দাহ” ও “পত্রালাপ” এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে।

বই ২টি প্রকাশ করেছে প্রকাশনা সংস্থা “কারুবাক” ও “ মেঘদুত”। একুশে বইমেলায় কারুবাকের ৩৫৭ ও ৩৫৮ নাম্বার স্টল ও মেঘদুতের ৬ ও ৭ নং স্টলে বইগুলো পাওয়া যাবে।  

“অন্তর্দাহ” প্রসঙ্গে লেখক লিজা কামরুন্নাহার বলেন- মুক্তি বলতে আমি বুঝি শক্তি, অন্তরের আধরি বচন মানে কবিতা। কবিতা হলো মনের মুক্তি। যেখানে শব্দগুলো খেলা করে অনুভূতির আদলে। যে কবিতা শুনতে জানে না, সে কোন আনন্দ উপভোগ করতে জানে না।

সৃষ্টিশীল অনুভূতির অপূর্ব সমন্বয় হলো মুক্তি। স্বাধীনতা মানে হলো সকল অশুচি থেকে মনের মুক্তির আস্বাদন। চাই মনের স্বাধীনতা, সততা ও স্বচ্ছতা। যেখানে আনন্দগুলো আলোয় হাসে।

অপর বই “পত্রালাপ” প্রসঙ্গে লেখক বলেন, চিঠি লেখার সময় কোন সাহিত্য নয় অন্তরের ডাক এর প্রকাশ পায় সতত, শ্বাশত ও সুন্দরভাবে।  চিঠির ফাঁকে ফাঁকে ঘণ্টাধ্বনি আমাদের মনে করিয়ে দেয় সময়ের পরিক্রমায় ধাবিত, আমরা পরিভ্রমণ করবো।

জয়িতা-রুদ্র এর জীবনের পথে পথে বিভিন্ন ধাপ তথা স্কুল, কলেজ জীবন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, বিবাহিত জীবন এবং জীবনের শেষ প্রান্তে এসে লব্ধ অনুভূতি। 

উপলব্ধি যাপিত জীবনের ভালো-মন্দের মিশেলে মানবিক জীবনের আত্ম-অনুধাবন দু'টি চরিত্রের মাধ্যমে মানব জীবন সময় ও প্রকৃতির কাছে কতটা দায়বদ্ধ তা জানা যাবে। পাস্কাল মনে করেন, প্রকৃতি হচ্ছে এক অসীম পরিমন্ডল যার কেন্দ্র আছে সর্বত্রই কিন্তু পরিধি নেই কোথাও। চিঠির একটি ধ্রুপদি ঐতিহ্য আছে। 

ডাক হরকরার ডাক হয়তো একদিন থেমে আসবে কিন্তু চিঠির গুরুত্ব থেকে যাবে মানব সভ্যতার অস্তিত্ব অবধি। সেই সাথে দু'টি চরিত্রের আদলে ও কথোপকথনে-মাধ্যম চিঠি হলে আমরা ভিন্ন ভিন্ন সময় ও সম্পর্ককে, সহজ ও দুর্বোধ্য, রোমান্টিক, বাস্তবিক, প্রগতিশীল আধুনিকতাকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখবো। 

প্রসঙ্গত, লিজা কামরুন্নাহার জন্ম ১৬ মে ১৯৭৫, পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা ও লেখালেখি নিয়ে জীবন যাপন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেছেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফুড সেফটি মুভমেন্টে জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন। যাপিত জীবনে সমাজ সেবামূলক কাজ করার তাগিদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্টন্স ক্লাব অফ নারায়ণগঞ্জ লিঃ নামক সংগঠনে ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখিতে মনোযোগী হয়েছেন তিনি।

লিজা কামরুন্নাহার এর প্রকাশিত বই সমূহ হলো-  ১.

অন্তর হতে আহরি বচন, ২. সরলা, ৩. নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট আসক্তি, ৪. প্রেম, ৫. মা, ৬. শূন্যতা, ৭. শৈশব এবং ৮. অগ্নুৎপাত। পত্রালাপ এই বইটি তার নবম বই, অন্তর্দাহ লেখকের দশম বই। 

তাঁর পিতা মরহুম কাইয়ুম মাহতাব এবং মা রিজিয়া কাইয়ুম। তাঁর পিতৃ-পিতামহ তৌশাদ্দল হোসেন বৃটিশ আমলে নারায়ণগঞ্জ মহকুমার শাসক ছিলেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি স্বামীসহ দুই সন্তানের জননী। এছাড়া তিনি কলামিস্ট। বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্বা ছিলেন।

লিজা কামরুন্নাহার এর লেখা কবিতা কলকাতায় একটি প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁর লেখা যৌথভাবে সম্পাদনায় বহু প্রকাশিত হয়েছে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জ বন র ত জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন,  আমরা যে যেখানে থাকি, আমাদের মানষিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আপনারা সবাই এগিয়ে যান আমি এসপি আপনাদের সাথে থাকবো। কেউ কেউ বলে  পুলিশ চাইলেই ফুটপাত উচ্ছেদ করে দিতে পারে।

এই নারায়ণগঞ্জে ১ দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৮শ’ পুলিশ। অথচ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩৫শ’ পুলিশ। ১৮শ’ পুলিশ দিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। 

আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পর ৫৫জন ট্রাফিকে এড করেছি।  অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু বাস্তবে করা আসলে কঠিন। এর মধ্যেও আমাদের যে পুলিশ আছে তা দিয়ে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবো। পুলিশ যদি বৈধ কাজ করে, অন্যায়ের কাজে জরিমানা করে।

তাহলে আপনারা দয়া করে বাধা দিবেনা, এই কথা আপনাদের দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে রাস্তা গুলো ভালো  না, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলেন। কিন্তু না, আপনারা পুলিশকে দোষারোপ করেন।  

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে যানজট নিরসন বিষয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেছেন, কোন ঘটনায় ডারেক্ট বা ইনডারেক্ট  আমাদের দিকে চলে আসে। সব কিছুতে পুলিশকে ভালো হলেও গালি দিবে খারাপ হলেও গালি দিবে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম, তখন নারায়ণগঞ্জে যানজট ছিলো একটা মূখ্য বিষয়।

আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি। ৫ আগস্টের পর আমাদের একটা দিয়েছে, সেটা হলো সবাই আন্দোলন মুখী হয়ে গেছে।  আমরা এখন কিছু বলতে গেলেই সাথে সাথে আন্দোলনে চলে যায়। পুলিশ নিয়ে খারাপ ২টা অভিযোগ হলো পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছে ও  পুলিশ চাঁদাবাজি করছে।

আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমাদের পুলিশের কাউকে যদি হাতে নাতে চাঁদা দেখাতে পারেন, আমি যদি তাকে সাসপেন্ড করে বাড়ি না পাঠাতে পারি তাহলে আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাব্বির সেন্টু’র উপন্যাস গ্রন্থ ‘স্বপ্নভরা দুটি চোখ’র মোড়ক উম্মোচন
  • নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের মতবিনিময় শনিবার
  • জামায়াতে ইসলামী ফতুল্লা উত্তর থানার ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত 
  • নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে একনাম কীর্তনের উদ্বোধন
  • আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে নিতে হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদী
  • শহরের ছিন্নমূল মানুষের পাশে মহানগর যুবদল নেতা কমল 
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ কুমার
  • আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো : এসপি প্রত্যুষ