বন্দরে টেক্সটাইল শ্রমিক শাহিনের আত্মহত্যা
Published: 31st, January 2025 GMT
বন্দরে সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের শিক্ষানবীশ মানসিক ভারসাম্যহীন শ্রমিক শাহিন (২০) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত শাহিন সুদূর গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ফজলুপুর এলাকার মৃত রফিকুল মিয়ার ছেলে।
সে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার লক্ষনখোলা সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলের স্টাফ কোয়ার্টার বসবাস করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কোন সময়ে উল্লেখিত স্টাফ কোয়াটারে ভিতরে এ আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে আত্মহত্যাকারী শ্রমিকের মামাত ভাই হামিদুল ইসলাম বাদী শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছে। যার অপমৃত্যু মামলা নং- ৪ তাং- ৩১-১-২০২৫ইং।
অপমৃত্যু মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার ফজলুপুর এলাকার মৃত রফিকুল মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্দর থানার লক্ষনখোলাস্থ সোহাগপুর টেক্সটাইল মিলসের শিক্ষানবীশ শ্রমিক হিসেবে চাকুরি করে আসছিল।
সে সাথে শিক্ষানবিশ শ্রমিক শাহিন কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ভাবে জীবন যাপন করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কেন সময়ে স্টাফ কোয়াটারে ব্যবহৃত গামছা এবং মাফলাট দিয়ে ফ্যানের হুকের সহিত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারন নির্নয়ের জন্য পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অপম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ নির্বাচনে পিআর সিস্টেমে ভোট চান জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে মূল কর্তৃত্ব থাকবে নিম্নকক্ষের হাতে। এটি হবে বর্তমান পদ্ধতিতে, আর উচ্চকক্ষ হবে পিআর সিস্টেমে। উচ্চকক্ষ যদি পিআর সিস্টেমে হয় তাহলে নিম্নকক্ষ কেন হতে পারবে না। একই দেশে দুই পদ্ধতির প্রয়োজন কী। পৃথিবীর ৬২টি দেশ পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি পিআর সিস্টেমে নির্বাচন করে। এই সুফল যদি তারা যুগ যুগ ধরে পেয়ে থাকে, তাহলে এ সুবিধা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করার কে। এটা যারা মানবেন না মনে করতে হবে, তারা হলো বিচার মানি; কিন্তু তালগাছটা আমার।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আরও বলেন, নারী অধিকার সংস্কারের নামে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জমা হয়েছে। সেই রিপোর্টের বেশ কিছু জায়গায় কোরআন ও সুন্নাহর সম্পূর্ণ খেলাপ কিছু সুপারিশ জমা হয়েছে। কিন্তু যারা এই সুপারিশ পেশ করেছেন; তারা এ দেশের সাড়ে ৯ কোটি মায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন না। তারা যে জায়গায় সমাজকে নিতে চান; সেটা হতে দেওয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেই এটি বাতিলের জন্য আহ্বান জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ইউরোপ সফরকালে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে বলেছি, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতিবাজরা ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। এই টাকা আমাদের জনগণের। পাচার হওয়া টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে। সেইসঙ্গে যেসব দুর্নীতিবাজরা আপনাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকেও বাংলাদেশের ফেরত পাঠাতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে কোনো শোষণ, জুলুম ও মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। এমন একটি বাংলাদেশ চাই; যেখানে আর আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না। একই বাংলাদেশে সবার একই অধিকার থাকবে।
প্রায় অর্থ লাখ জনতার উপস্থিতিতে জামায়াতের আমির বলেন, ইসলামের প্রশ্নে আমরা সবাই এক আছি। কোনো বাধার মুখে আমরা থেমে যাবো না। আমরা একমাত্র আল্লার ওপর ভরসা করি। তার শক্তিতে বিজয় আসবেই। এই বিজয়ের মাধ্যমে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবার জন্য এক ধরনের বিচারব্যবস্থা চাই। বিচার ব্যবস্থা প্রভাবশালীদের জন্য একরকম আর সাধারণত এর জন্য আরেক রকম, এটা আমরা চাই না।
দ্রব্যমূল্য রমজানে থাকলেও বাজার এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে। আমরা সরকারকে বলব, সেদিকে নজর দেন। সমাজের শৃঙ্খলা বিনষ্টের যারা কারণ তাদেরকে পাকড়াও করুন। যারা সাড়ে ১৫ বছর এবং শেষ মুহূর্তে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েছে তাদের কাউকেই আইনের বাইরে রাখবেন না।
মহানগর জামায়েতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দসহ অন্যরা।
সম্মেলনটি সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা থেকে জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে সার্কিট হাউস মাঠে জড়ো হন। সম্মেলনে ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।