বাণিজ্য মেলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
Published: 31st, January 2025 GMT
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ টিকিট না কেটে ঈগলু আইসক্রিম ষ্টলের কর্মচারীর মেলায় জোরপূর্বক প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ক্যামেরা বন্ধি করতে গিয়ে যমুনা টিভির সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন জয় হামলার শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঈগলু আইসক্রিম প্যাভিলিয়ন বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
এ ঘটনায় ঈগলুর ষ্টোর সহকারী কুমিল্লা জেলার আলমগীর সরকারের ছেলে সাকিব হোসেন (২৭), মার্কেটিং ম্যানেজার নাটোর জেলার বলাড়িপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মবিন হাসান (২৬) ও ট্রেড সেলস ম্যানেজার গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া গ্রামের মোশারফ মোল্লার ছেলে বায়েজীদ হাসানকে (৩১) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঈগলু আইসক্রিম প্যাভিলিয়ন পুলিশ বন্ধ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেলায় গতকাল ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে প্রবেশ টিকিট না কেটে ঈগলু আইসক্রিম ষ্টলের কর্মচারীর মেলায় জোরপূর্বক প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যমুনা টিভির রূপগঞ্জ প্রতিনিধি জয়নাল আবেদীন জয় মোবাইলে ও ক্যামেরা পার্সন আহম্মেদ জুলহাস ভিডিও করতে গেলে ঈগলুর ১৫/২০ কর্মচারী তাদের উপর চড়াও হয় ।
হামলাকারীরা জয়নাল আবেদীন জয়কে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে। একপর্যায়ে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে ঈগলুর কর্মচারীদের হাতাহাতির ঘটনা ধারণকৃত মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা তারা ভাংচুর করে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ হামলার শিকার জয়নাল আবেদীন জয়কে উদ্ধার করে। পরে তাকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) সালাউদ্দিন বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
পাশবিকতার পর কন্যাশিশুকে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে পাশবিকতার পর ছয় বছরের এক কন্যাশিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সাব্বির খান নামে এক যুবকের স্বীকারোক্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে, রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪১ দিন পর প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলেছে চার বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীর লাশ।
দুটি ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুক্রবার বিক্ষুব্ধরা সিরাজদীখানে সাব্বিরের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও স্বজন জানান, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে নিখোঁজের তিন দিন পর মাদ্রাসাছাত্রী ফাতেমা আক্তারের (৬) লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী শহীদুল ইসলামের মেয়ে ও রশুনিয়া মাহমুদিয়া নুরানিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে নিখোঁজ হয় ফাতেমা। মাহফিলকে কেন্দ্র করে সেখানে আইসক্রিমের অস্থায়ী দোকান দেয় রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের নাহিদ খানের ছেলে সাব্বির খান (২৫)। সাব্বির আইসক্রিম দেয় ফাতেমাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বুধবার দুপুরে তাকে ধরে সিরাজদীখান থানায় দেন। পরে ফাতেমার মা বিলকিস বেগম মামলা করেন।
সিরাজদীখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, সাব্বিরকে আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশু ফাতেমার ওপর পাশবিকতা শেষে শ্বাসরোধে হত্যা ও লাশ গুমের বিষয় স্বীকার করে। পরে তারই দেখিয়ে দেওয়া পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাব্বিরের শাস্তি দাবি করে ফাতেমার চাচা মাওলানা এরশাদ বলেন, ‘আমার ভাই বিদেশে থাকেন। এত ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে কেউ এমন করবে আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা সাব্বিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এদিকে রংপুরের কাউনিয়ায় নিখোঁজের ৪১ দিন পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মাদ্রাসাছাত্রী দোলা মণির (৪) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
দোলা মধ্য ধর্মেশ্বর মহেশা গ্রামের দেলোয়ার মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় তিন প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ির বাইরে বের হয় দোলা। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। শেষ পর্যন্ত না পেলে কাউনিয়া থানায় দোলার সন্ধান চেয়ে জিডি করে পরিবার। এর পর দীর্ঘদিন পার হলেও দোলার খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার কাউনিয়া ও পীরগাছা সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন তাঁর বাবা দেলোয়ার।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ৩০ বেঙ্গল ইউনিটের ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান নিয়নের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দোলার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম (৫০), আফজাল হোসেন (৪২) ও সুমন মিয়াকে (২৩) ধরে থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার বিকেলে দোলার বাবা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।