ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস শনিবার তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। শুক্রবার গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবেইদা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক পোস্টে জানিয়েছেন, ইয়ার্ডেন বিবাস, কিথ সিগেল এবং ওফার কালদেরনকে মুক্তি দেবে। এদের মধ্যে ইয়ার্ডেন বিবাস হলেন শিশু কেফিরের বাবা। অপহরণের সময় তার সন্তানের বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। ইয়ার্ডেনের আরেক সন্তান এরিয়েলের বয়স ছিল চার বছর। কেফির এবং এরিয়েলের ভাগ্য সম্পর্কে, অথবা তাদের মা শিরি সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদেরকে একই সময়ে জিম্মি হিসেবে আটক করেছিল হামাস। ২০২৩ সালের শেষের দিকে হামাস জানিয়েছিল, গাজা যুদ্ধের প্রথম দিকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৯ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৮১ জন দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, তিন দেশের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির প্রথম ৪২ দিনের পর্ব অনুসারে, ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে ডুবল জাহাজ
খুলনায় রূপসার রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গেছে লাইটার জাহাজ এমভি সেভেন সার্কেল-২৩। জাহাজটিতে ১ হাজার ১৭৫ টন সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
জাহাজের সুকানি ইমাম হোসেন লিটু ও গ্রিজার অমিত কুমার শীল জানান, তারা মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে রূপসা এলাকায় সেভেন রিংস সিমেন্ট কারখানার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে রূপসা রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। তারা জানান, জাহাজটি যখন ডুবে যাওয়ার উপক্রম তখন তারা সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে ফোন দেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুত দুটি ট্রলার পাঠান। ঘটনাস্থল ফ্যাক্টরির কাছাকাছি এলাকায়। পরে জাহাজে থাকা ১৩ জন কর্মচারী ট্রলারে করে তীরে উঠতে সক্ষম হন।
খুলনা নৌ পুলিশের সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লাইটার জাহাজের কেউ নিখোঁজ নেই। সবাই তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জাহাজের কর্মচারীরা তীরে নোঙর ফেলে ও
তিনটি স্থানে খুঁটি পুঁতে দড়ি দিয়ে অর্ধডুবন্ত জাহাজটিতে বেঁধে রেখেছেন। জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, তীরের কাছাকাছি ডুবে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষাকৃত কম হয়েছে।