ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমি কোনোভাবেই দায়ী নই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতব্বর সাংবাদিকদের এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে আমার নামে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সংবাদে আমার নেতৃত্বে ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের আরও দাবি করেন, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেয় দুর্বিত্তরা।

ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয়ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.

মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।

এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারনামীয় এক আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা ও মারধর হয়। এতে অন্তত চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গজালিয়া ব্রিজ এলাকায় হামলা করা হয়। পরে রাতভর সেনা সদস্য ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপির ১৭ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। 

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আহমেদ কবিরের নেতৃত্বে গজালিয়া ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি ও মারধর মামলার আসামি একলাছ শেখকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় স্থানীয় গজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শিকদার জাকির হোসেন টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক শেখ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় এসআই আহমেদ কবির, এএসআই রাকিব মোল্লা ও কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান এবং রঞ্জন বিশ্বাস আহত হয়।

পরে সেনা সদস্য ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করে। গ্রেপ্তাররা হলেন, রিয়াজ শেখ (২৫), আমিনুল হক (২৮), হেমায়েত মোল্ল্যা (৫২), সাব্বির শেখ (১৯), সোহাগ শেখ (২৩), রবিউল ইসলাম (২৭), আমিরাত হোসেন লিজন (২০), সাকিব শেখ (১৮), ইবাদুল সিকদার (২৬), আবুল খায়ের সুইট (৪১), ওমর ফারুক (৩৯), শাওন আকন (২১), জনি শেখ (১৮), রাফি সিকদার (২১), ইয়ার হোসেন (৩২) ও রিয়াজুল ইসলাম (২৯)। এরা সবাই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী। 

আরো পড়ুন:

১৬ বছর পর মুক্ত পরিবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঈদ

তারেক রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা, চাইলেন স্বৈরাচারের বিচারও

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শামীম আহসান জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। 

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের উপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬