ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান নেই: ফরিদ আহমেদ
Published: 31st, January 2025 GMT
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, “ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান দেওয়া হবে না। যদি এমন কেউ দলের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে সেটি আমাদের জানাবেন। আমরা গণশুনানি করে ফ্যাসিবাদের সহযোগীকে সরানোর জন্য আমাদের সিনিয়র নেতাদের কাছে আবেদন করব।”
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাইমচরের আলগী বাজার আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিত ও প্রথম সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, “দলকে শক্তিশালী করার জন্য আগামী দিনে সম্মেলনের মাধ্যমে যাকেই আপনারা নেতা বানাতে চান সেটি নিশ্চিতে আপনাদের এবং কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফ্যাসিবাদের সহযোগীকে দলের মধ্যে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না। যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগিতা নিয়ে ১৬ বছরে আপনাদের ক্ষতি করেছে, তারা যেনো দলের কোনো জায়গায় আসতে না পারে সেদিকে আপনারা সতর্ক থাকবেন।”
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ
কম্প্রোমাইজ নয়, নির্বাচন হতেই হবে: তারেক রহমান
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম। হাইমচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.
ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ফ য স ব দ র সহয গ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবরের মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শাশুড়ির যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাইমচরে গৃহবধূ ফাতেমাকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দেবর রিপন গাজীকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় নিহতের শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম গাজী ও শাশুড়ির শাহানারা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিরুল ইসলাম এ রায় দেন। নিহত ফাতেমা (২৫) প্রবাসী ফারুক গাজীর স্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার গোরাকান্দাইল এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন খানের মেয়ে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রিপন জেলার হাইমচর উপজেলার পশ্চিম ভিঙ্গুলিয়ার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম গাজীর ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী সিরাজুল ইসলাম মৃত হাশেম গাজীর ছেলে।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমার শাশুড়ি কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গলায় চেপে ধরে । ওই সময় আসামি শ্বশুর ও দেবর ফাতেমার পেটে লাথি মারে। ঘটনাস্থলে গৃহবধূ ফাতেমার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশে বাড়ির পুকুরে নিয়ে লুকিয়ে রাখে। পরদিন ১৬ অক্টোবর সকালে বাড়ির লোকজন দেখলে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে নিহত ফাতেমার ভাই ইউসুফ খান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুস সামাদ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) শামছুল ইসলাম মন্টু বলেন, মামলাটি ১৬ বছর চলমান অবস্থায় ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামিদের উপস্থিতি বিচারক রায় দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ও জুয়েল রানী শীল।