ফরিদপুরে ফরহাদ প্রামাণিক (২১) নামে এক রিকশাচালককে হত্যা করে তার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফরহাদ প্রামাণিক রাজবাড়ী সদরের পাচুড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের বাসিন্দা সাত্তার প্রামাণিকের ছেলে। এক বছর আগে ফরহাদ বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকার একটি শিশু একটি মুঠোফোন খুঁজে পায়। ওই ফোনে ফরহাদের বাবা কল করে তার ছেলে সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত ফরহাদের বাবা সাত্তার প্রামাণিক জানান, তার ছেলে ফরহাদ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টার পর থেকে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনটি চালু করা হলে একটি শিশুর কথা শুনতে পান ফরহাদের বাবা।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আসাদউজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশাটি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ফরহাদকে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফরহ দ

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীতে ৫ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা

সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে হয়ে গেল মেঘনা ৫ কিলোমিটার সাঁতার-২০২৫’ নামে একটি সাঁতার প্রতিযোগিতা। ট্রায়াথলন ড্রিমার্স আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকে আসা ১০০ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। এ আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের সাঁতার শেখায় আগ্রহী করে তোলা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সাঁতার শুরু হয় সকাল ১১টা ২ মিনিটে সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দবাজার ঘাট থেকে। আর ফিনিশিং পয়ন্টে ছিল ৫ কিলোমিটার দূরের কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা গ্রাম। এই দীর্ঘ পথ সফলভাবে অতিক্রম করেন ৫৪ জন সাঁতারু। । ৫ কিলোমিটার সাতাঁরে প্রথম হয়েছেন সাইফুল ইসলাম রাসেল, দ্বিতীয় হয়েছেন নাজমুল হক ও তৃতীয় হয়েছেন রাব্বী মিয়া। 

আয়োজক প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মিনিটে একজন করে মানুষ মারা যায় পানিতে ডুবে। এর সিংহ ভাগ শিশু। এই সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষকে সচেতন করা। 

সাঁতারুদের নিরাপত্তার জন্য প্রতি ৫০০ মিটার পরপর একটি করে সেফটি নৌকা, রেসকিউ টিম, নৌ পুলিশ, ডুবুরি ও মেঘনা থানা পুলিশ। সাঁতারুদের জন্য ছিল হাইড্রেশন পয়েন্ট ও মেডিকেল টিম। 

সাতাঁর প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার ছিল দৈনিক আজকের পত্রিকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ