দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড
Published: 31st, January 2025 GMT
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ আহত হননি।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের চারতলা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. এ বি এম নুরুজ্জামান বলেন, “সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন বা শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ওষুধের কার্টুনের স্টোরে আগুন লেগেছিল। আগুন দেখার সঙ্গে সঙ্গে মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভান।”
আরো পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী সাংবাদিক এম সুলতান
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে দুদকের অভিযান
তিনি আরো বলেন, “গত বছর একই দিনে (৩১ জানুয়ারি) দিনাজপুর মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে আগুন লেগেছিল।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও ক্যাপ্টেন সাজিদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ
আদালত অবমাননা এবং নিয়ম বহির্ভূত কাজের জন্য ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিমান সূত্রে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-এর ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদ বিধিবহির্ভূতভাবে বিমানের চাকরি থেকে পদত্যাগ না করে এবং বিমান থেকে ছাড়পত্র/এনওসি না নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চাকরিতে যোগদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বিরুদ্ধে বিমান চাকরি প্রবিধানমালা, ১৯৭৯-এর বিধান মতে বিভাগীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ফলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং বিধিবহির্ভূত কাজের দায়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থাটি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিগত ২০১৬ সালে এনওসি ব্যতীত পাইলট নিয়োগের বিরোধিতা করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন (নম্বর ১২৬৪০/২০১৬) দায়ের করে। এই রিট পিটিশনে সরকারসহ বিমানকে বিবাদী করা হয়।
রিট পিটিশন শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ এনওসি ব্যতীত এক এয়ারলাইন্সের পাইলট অন্য এয়ারলাইন্সের চাকরিতে যোগদান করতে পারবে না বলে রায় দেন। পরবর্তী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ওই রায় মেনে চলার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে পত্র পাঠায়। কিন্তু ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বেলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আদালতের রায় লঙ্ঘন করে এনওসি ব্যতীত চাকরিতে যোগদান করে।
বিমানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে জানান, ব্যারিস্টার হাফিজুর রহমান খান স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে এনওসি পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের নিয়োগ বাতিল/স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে বিমান থেকে বিধিমোতাবেক পদত্যাগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই লিগ্যাল নোটিশে নির্দেশনা না মানা হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল এবং সিভিল উভয় ধরনের মামলা করার কথা বলা হয়।
উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে তার স্ত্রী সাদিয়া আহমেদকে দুর্নীতির মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ ছিল। তার স্ত্রী জাল সনদের মাধ্যমে পাইলট ফ্লাইং লাইসেন্স নেন, ফলে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ পাইলট সাদিয়ার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করেছে। এবার সে পথেই হাঁটতে চলেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাপ্টেন সাজিদ তার স্ত্রীর জাল সনদের মাধ্যমে বিমানে চাকরিতে যোগদান করিয়ে ক্রিমিনাল আইন লঙ্ঘন করেছেন। এ কারণে বেবিবচ কর্তৃক প্রায় বছরখানেক সময় সাসপেন্ড ছিল ক্যাপ্টেন সাজিদের ফ্লাইং লাইসেন্স। সেই লাইসেন্স ফেরত পেয়েই বিমান থেকে বিধিমালা লঙ্ঘন করে এনওসি ছাড়াই ইউএস-বাংলায় চাকরিতে যোগদান করেন তিনি।