সালটা ২০০৬। মানুষের মুখে মুখে ফিরেছিল একটি গান ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে’।  চ্যানেল  আইয়ে সাড়া ফেলা গানের রিয়েলিটি শো  ‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ’ এর টাইটেল ট্র্যাক ছিল এটি। শওকত আলী ইমনের সুরে গানটির কথা লিখেন গীতিকার আসিফ ইকবাল। সেই গানের শিরোনামেই এবার বইমেলায় বই প্রকাশ করছেন আসিফ ইকবাল। নাম ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট’। তবে বইটি শোবিজ কাজ বিষয়ক নয়, ব্যক্তি জীবনে মানসিক দক্ষতা বাড়াতে নানা কৌশল ও অভিজ্ঞতা নিয়েই এই বই। 

আসিফ ইকবাল ঢাকার শোবিজ ইন্ডাষ্ট্রির একজন সফল গীতিকার হলেও  তার বড় পরিচয় তিনি বাংলাদেশের একজন সফল কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব। দেশের খ্যাতিমান একাধিক প্রতিষ্ঠানে বহুমাত্রিক ও নানান উদ্ভাবনী কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন। সাফল্যের সঙ্গে এ অঙ্গনে তিন দশক পার করেছেন তিনি। সফল হওয়ার সেই অভিজ্ঞতার থেকেই  প্রকাশ করেছেন নতুন বই ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট’।

আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমরা মনে করি মানুষের শারীরিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা মানুষকে সফল করে। আসলে প্রত্যেকের সাফল্যের পেছনে মানসিক দক্ষতাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। এই মানসিক দক্ষতা বিষয়টির প্রতি জোর দিয়ে সুন্দর বর্ণনার বই আমার চোখে খুব একটা পড়েনি। সে বিষয়টিকেই  সুন্দর একটি ফর্মেটে দাঁড় করিয়ে বইটি লিখেছি।   এই বইটি ফলো করলে প্রত্যেক মানুষ তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল হতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’ 

আসিফ ইকবাল আরও বলেন,  যারা সফল হতে চান, কেবল তাদের জন্য এই বই তেমন কিন্তু নয়। তারা কর্মজীবনে সফল তারা সেই সাফল্য  টিকিয়ে রাখতে চান তাদের জন্যও এই বই।  আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারের দেশ বিদেশর নানা অভিজ্ঞতার গল্প লেখায় উপস্থাপন করেছি। আমার বিশ্বাস যা সবার বেলাতেই কাজে লাগবে। ব্যক্তিকে তার মানসিক দক্ষতা বাড়িয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দিতে এই বই প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করবে। 

বিশেষ করে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি শুরু করবেন, বা করছেন, কিংবা উদ্যোক্তা হবেন বা উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন তাদের কাঙ্খিত যাত্রায় পৌছে দিতে এই বই বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে বলেই জানান লেখক। 

বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আনিসুজ্জামান সোহেল। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে বইটি। আপাতত নেওয়া হচ্ছে  প্রি-অর্ডার। চাইলে  +৮৮০১৭০৮১৬৬২৯৩ (হোয়াটসঅ্যাপ) প্রি-অর্ডার করে নিতে পারবেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’

lশৈশবের প্রিয় মুহূর্ত? 
 তখন আমি তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করি। নিয়মিত স্কুলে যাই। তখনকার পড়াশোনার পদ্ধতি ছিল ভিন্ন রকমের। এখনকার শিক্ষা পদ্ধতি আবার অন্যরকমের। ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ব্ল্যাকবোর্ডে চক দিয়ে গাছ, ফুল, পাখি, নদী-নালা, প্রাণীসহ বিভিন্ন ধরনের আঁকাআঁকি করে দিতেন শিক্ষক। আমরা সেসব দেখে দেখে নিজেরা আঁকতাম। স্কুলে একবার একটি তাজমহলের ছবি আঁকি। যেহেতু আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসতাম, তাই আগ্রহ থেকেই এটা আঁকি। তখন জাপানি গিটার কালার পাওয়া যেত, অন্য কোনো কালার পাওয়া যেত না। সেই তাজমহলের ছবি দেখে আমাকে পুরস্কৃত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আমি যে কি আনন্দিত হই তা বলে বুঝাতে পারব না; 
lযখন আপনি নবীন চিত্রশিল্পী
নবীন চিত্রশিল্পী হিসেবে বেশ স্মৃতি আছে। তখন শিল্পকলা একাডেমিতে, ঢাকা আর্ট কাউন্সিলে একটা গোল বিল্ডিং ছিল। সেখানে সব প্রদর্শনী হতো। ওখানে নবীন শিল্পী, ঢাকা বা পাকিস্তান থেকে ছবি আসত। সেখানে আমরা যেতাম, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতাম। তারপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আগে ছিল পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল। সেই কাউন্সিলের উদ্যোগে নবীন শিল্পীর প্রদর্শনী পরবর্তী পর্যায়ে শুরু করা হয়। আমরা সেখানে নবীন চিত্রশিল্পী হিসেবে যোগ দিতে শুরু করলাম। তারপরই জাতীয় আর্ট এক্সিবিশন হলো। যার পরিচালক ছিলেন সুবীর চৌধুরী।
স্মরণীয় স্মৃতি
আমাদের সময় ডিগ্রি ছিল, অনার্স ছিল না। তখন আমি তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করি। ফার্স্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার, ফোর্থ ইয়ার হোল ক্লাসে আমি বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পাই। সেটা আমার জীবনের বড় স্মৃতি একটা। যে স্মৃতির ফলে সামনে এগোতে আরও বেশি সাহস পাই। 
আড্ডা-তর্কে সঙ্গী যারা
আর্ট কলেজের সহপাঠী বন্ধু ছিল শহীদ কবির, মঞ্জুরুল হাই, বিজয় সেন, খুশী কবির, সেতারা ইব্রাহীম, ফরিদা শওকত, শিরিন সুলতানা, সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদসহ আরও অনেকেই। আমরা বিভিন্ন আড্ডা দিতাম। নিজেদের চিন্তাধারার কথা, ভাববিনিময় নিজেদের ভেতর শেয়ার করতাম। ছবির দুটো ধারা আছে। একটি ক্রিয়েটিভ আর্ট, আরেকটি হলো ইলাস্ট্রেটিভ। আমরা সাধারণত ক্রিয়েটিভ আর্টের দিকে ঝুঁকতাম। 
ভাবনাদর্শকে প্রভাবিত করেছেন যিনি
আমিনুল ইসলাম মূলত ভাবনাদর্শকে প্রভাবিত করেছে। তারপর আমার নিজস্ব স্টাইল ডেভেলপ করে গেছি। জল রংয়ে প্রভাব ছিল আনোয়ারুল হক, রফিকুন নবী ও মোস্তফা মনোয়ারের।
আপনার প্রথম চিত্রপ্রদর্শনী
১৯৮৭ সালে চারুকলার ইনস্টিটিউটের দুটো গ্যালারিতে প্রথম প্রদর্শনী করি।
আপনার প্রিয় চিত্রশিল্পী
গুরু হিসেবে ফলো করতাম দেশের বাইরে পাবলো পিকাসো, সেজান, ভ্যান গগ, রোথকো, হুসাইন। দেশের ভেতর এসএম সুলতান, জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, মুর্তজা বশীর, আমিনুল ইসলাম। তারা অসাধারণ কাজ করেছেন। তাদের পেইন্টিং অনন্য। জয়নুল আবেদিন তো মাস্টার ড্রয়িং কাজ করেছেন। এবস্ট্রাক্টে যখন প্রবেশ করি, তখন মোহাম্মদ কিবরিয়ার কথা বলতে হয়। তিনি আমার মেইনলি গুরু বলতে পারেন। তাঁর কাজ আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করত। তিনি জাপান থেকে ফিরে আসাতেই এ ধরনের কাজ করতেন। বাংলাদেশে এবস্ট্রাক্ট পেইন্টিংয়ে সুপারমাস্টার তিনি ছিলেন।
lএখন যা আঁকছেন
একজন চিত্রশিল্পীর মূল ড্রয়িং। একজন চিত্রশিল্পী যত ড্রয়িং করতে পারবেন, তিনি তত ভালো ছবি আঁকতে পারবেন। ভাঙচুর করতে পারবেন। ড্রয়িং করি রেগুলার। সেটাকে বেজ করে অন্য কিছু এঁকে থাকি। আমি ফিগারের লাইন ড্রয়িং করছি। সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যেক শিল্পীর ড্রয়িংটাকে নিয়েই কাজ করতে হবে। একজন চিত্রশিল্পীর ড্রয়িংকে অবহেলা করে চলা উচিত না। আমি এখন ড্রয়িং নিয়ে কাজ করছি। ড্রয়িংকে বেজ করে এবস্ট্রাক্ট পেইন্টিংসহ অন্যকিছু করছি।
lপ্রিয় উদ্ধৃতি
‘সবার উপরে মানুষ এবং প্রকৃতি’ 
গ্রন্থনা: ফরিদুল ইসলাম নির্জন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নামাজ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শাহজালাল মাজারে বিক্ষোভ, ট্যুরিস্ট পুলিশ অবরুদ্ধ
  • আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না
  • শুধু নারী নয়, পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়: প্রিয়াঙ্কা
  • বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু 
  • গায়িকা-অভিনেত্রী মারিয়ান ফেইথফুল আর নেই
  • সাইফুল-সাজ্জাদে তটস্থ চট্টগ্রামের ৫ থানার পুলিশ
  • কামরুল হাসানের কাছে শিল্প ধরা দিয়েছিল
  • ‘আমার চিত্রকর সত্তার মৃত্যু ঘটিয়েছি’
  • ‘রেখাচিত্রকে অবহেলা করা উচিত নয়’