টিকিট বিক্রির আয়ে রেকর্ড করল বিপিএল
Published: 31st, January 2025 GMT
নানা বিতর্কের মধ্যেও বিপিএলের চলতি আসরে এক ইতিবাচক দিক উঠে এসেছে—টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের রেকর্ড। ম্যাচ ফিক্সিং, পারিশ্রমিক সংক্রান্ত জটিলতার মতো নেতিবাচক ইস্যু ছাপিয়ে এবারের আসরে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে বিপিএল ইতিহাসে এবারই প্রথম টিকিট বিক্রির আয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
অতীতে বিপিএল থেকে সর্বোচ্চ ৪ কোটি টাকা টিকিট বিক্রির আয় হয়েছিল। তবে এবার সেই রেকর্ড অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত শুধু টিকিট বিক্রি করে ক্রিকেট বোর্ড আয় করেছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলো এখনও বাকি, ফলে আয় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এবার মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সব ভেন্যুতেই দর্শকদের ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। মিরপুরে তো একপর্যায়ে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকদের বিক্ষোভ ও বিসিবির গেট ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। তবে অনলাইন টিকিট বিক্রির ফলে এবার আয় আরও স্বচ্ছভাবে বেড়েছে। বিপিএলের ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে, যা সরাসরি জমা হচ্ছে বিসিবির কোষাগারে।
টিকিট বিক্রির আয়ে এই উল্লম্ফনের কারণে বিসিবি ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের প্রাইজমানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেও গ্যালারি ভরা দর্শকের আশা করছে বিসিবি, যা টুর্নামেন্টের আর্থিক সাফল্য আরও বাড়িয়ে তুলবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ট ক ট ব ক র র আয় র কর ড ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে অটোচালককে কুপিয়ে টাকা লুট
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিন্টু (৩৩) নামে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে অটোগাড়ি ক্রয়ের নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাতেন ও শাহাদাতগং এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় আহত পিন্টু মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে হামলাকারি বাতেন, শাহাদাত, আব্দুল মতিন ও রিপনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) রাত ১০টায় বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের বাবুপাড়ামোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার ২০৯ নং সালেহনগর এলাকার বাসেদ মিয়ার ছেলে পিন্টু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অটোগাড়ী চালিয়ে জীবন যাপন করে আসছে। গত বুধবার অটো চালক পিন্টু মিয়া তার ব্যবহৃত অটোগাড়ীটি অন্যত্র জায়গায় বিক্রি করে ভালো একটি অটোগাড়ী ক্রয় করার প্রস্তুতি নেয়।
এর ধারাবাহিকতা গত বৃহস্পতিবার রাতে অটো চালক পিন্টু মিয়া নতুন গাড়ী ক্রয় করার জন্য নগদ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে বন্দর বাবুপাড়ামোড়ে আসলে ওই সময় উৎপেতে থাকা বন্দর থানার সালেহনগর এলাকার আব্দুল মতিন মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে বাতেন, বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত, সালেহনগর এলাকার আব্দুল মতিন ও বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার রিপনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা অটো চালক পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে উল্লেখিত অটো ক্রয়ের নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আহত অটো চালক পিন্টু মিয়া জানায়, গত ২২ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ১০টার সময় রূপালি বাবুর বিল্ডিংএ বিদ্যুতিক ত্রুটির কারণে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উক্ত অগ্নিসংযোগ বাতেন ও শাহাদাত আগুন নিভাতে সাহায্য করে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত বখাটেরা বাড়ীওয়ালার (বাবু) নিকট ৬৫ হাজার টাকা দাবি করে।
বাড়ি ওয়ালা আমার পূর্ব পরিচিত হওয়াইয় বিবাদী গণ আমার কারণে উক্ত চাঁদা বাজিতে সফল হয়নি। এ ঘটনার জের ধরে তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে কুপিয়ে অটোগাড়ী ক্রয়ের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।