পতিত আওয়ামী সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামা‌জের পর বগুড়া শহরের কলোনি জামিল মাদরাসার সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি বড়গোলা হয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় মুক্তমঞ্চে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক গোলাম জাকারিয়া। 

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যকরি পরিষদ সদস্য ও বগুড়া শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজোয়ানুল ইসলাম, বগুড়া জেলা পূর্বের সভাপতি জোবায়ের হোসেন, বগুড়া জেলা পশ্চিমের সভাপতি সাইয়্যেদ কুতুব সাব্বির, বগুড়া শহর শাখার সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ, পশ্চিম জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আল-ইমরান ও পূর্ব জেলা সেক্রেটারি শাহরিয়ার হাসান বিপ্লব। 

আরো পড়ুন:

নদী থেকে পাওয়া মৃত শিশুর পোশাক দেখে নিজের সন্তান দাবি

ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ক্যাবের

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হলেও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী গণহত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করেনি। সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র করার সাহস দেখাচ্ছে। অবিলম্বে সারা দেশে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে ছাত্রশিবির আওয়ামী সন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের উচিৎ শিক্ষা দিতে আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। 

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণহত য

এছাড়াও পড়ুন:

আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তাদের দোষী নেতাকর্মীদের বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া সম্ভব না।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের প্রতিবাদ করতে দিয়েছিল?

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান প্রেস সচিব।

পোস্টে তিনি লিখেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বন্ধ করেনি। গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি প্রতিবাদ হয়েছে। এর কিছু প্রতিবাদ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো প্রতিবাদে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।

জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী। তিনি প্রশ্ন রাখেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে কি প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?

প্রেস সচিব লিখেন, বিশ্বের কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ দেয় না। অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং হত্যাকারীদের নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবাদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যানারে অন্য কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিসিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইনকিলাব মঞ্চের পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাও মিছিল আটকালো হাইকোর্ট মোড়ে
  • ‘আ.লীগের পতাকাতলে বিক্ষোভ করলে আইনের মুখোমুখি হতে হবে’
  • আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব