দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
Published: 31st, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কখন দরুদ পাঠ করতে হয়
সাধারণভাবে দরুদ পাঠ করা পুণ্যের কাজ। তবে ৪টি স্থানে দরুদ পাঠ করা ইসলামে বিধিবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
১. নামাজের শেষ বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পাঠের পরে। ফুজালা ইবনে ওবাইদ (রা.) হাদিস বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) শুনলেন, এক ব্যক্তি নামাজে এমনভাবে দোয়া করছে, যাতে আল্লাহর প্রশংসাও করে নি এবং নবীজির(সা.) প্রতি দুরুদও না। তিনি বললেন, ‘সে তাড়াহুড়া করেছে।’ তিনি তাকে ডাকলেন। এরপর তাঁকে বা অন্যদের বললেন, ‘আমাদের কেউ যখন নামাজ পড়ে, তখন সে যেন তার প্রতিপালকের প্রশংসা এবং স্তুতি বাক্য দিয়ে শুরু করে, তারপর নবীজির প্রতি দরুদ পড়ে। এবং শেষে তার খুশিমতো প্রার্থনা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৪৮১)
২. মসজিদে প্রবেশের সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন নবীজির (সা.) প্রতি সালাম পাঠায় আর বলে, ‘আল্লাহুম্মা-ফ্তাহ্লী আবওয়াবা রহমাতিক’ (আল্লাহ, আমার জন্যে আপনার রহমতের দুয়ার খুলে দিন)।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৭৭২)
আরও পড়ুন‘আত-তাহিয়্যাতু’র মর্মবাণী কী১১ এপ্রিল ২০২৫৩. আজানের পরে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) নবীজিকে(সা.) বলতে শুনেছেন, ‘যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আহ্বান শোনো, তখন তোমরাও তা বলো, যা সে বলে। তারপর আমার ওপর দরুদ পড়ো। নিশ্চয় যে আমার প্রতি একবার দরুদ পড়ে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তাকে দশবার আশীর্বাদ করবেন। তারপর আমার জন্যে ‘ওসিলা’ প্রার্থনা করো। কেননা, তা জান্নাতের একটি অধিষ্ঠান, আল্লাহর বান্দাদের প্রত্যেকের তা কামনা এবং আশা করছি, আমি সেখানেই থাকব। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা প্রার্থনা করবে, তার জন্য আমার সাফায়াত থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩৮৩)
৪. এমন প্রতিটি সময় যখন নবীজির (সা.) নাম স্মরণ করা হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ধ্বংস হোক সেই ব্যক্তির, যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হয়, অথচ সে আমার ওপর দরুদ পাঠ করে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩,৫৪৫)
আরও পড়ুনফজর নামাজ শয়তানের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের বিজয়০৯ এপ্রিল ২০২৫