গত বছরের এপ্রিলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় বিদ্যা বালান অভিনীত ‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমা। শীর্ষ গুহঠাকুরতা নির্মিত এই সিনেমায় বিদ্যার বিপরীতে অভিনয় করেন প্রতীক গান্ধী। সিনেমাটিতে এই দুই তারকার রসায়ন দারুণ প্রশংসা কুড়ায়।

‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমায় দুই বছরের ছোট প্রতীকের সঙ্গে বিদ্যা বালানের চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। পর্দায় প্রতীকের এটি প্রথম চুম্বন দৃশ্য। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর এই দৃশ্য নিয়ে চর্চা কম হয়নি। পুরোনো সেই চর্চিত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রতীক। জানালেন— পুরো ব্যাপারটি সহজ করে দিয়েছিলেন বিদ্যা বালান। 

লেহরেন রেট্রো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন প্রতীক। ৪৪ বছরের এই অভিনেতা বলেন, “আমি তাকে (পরিচালক শীর্ষ গুহঠাকুরতা) বলেছিলাম, বিষয়টি নানাভাবে দেখানো যেতে পারে। আপনি বললে, আমি আপনাকে বিভিন্ন বিকল্প পথ দেখাতে পারি। আমি যদি চোখ দিয়ে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি, তবে সেটা দেখতে পারেন। কিন্তু সে কী চায়, কীভাবে চায়— সে ব্যাপার পরিষ্কার ছিল।” 

আরো পড়ুন:

অভিনেত্রী থেকে সন্ন্যাসিনী, মমতাকে ঘিরে আখড়ায় জটিলতা

কুম্ভ মেলা থেকে বলিউডে, ভাইরাল মোনালিসার ভাগ্যবদল

পর্দায় প্রথমবার চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের তথ্য জানিয়ে প্রতীক বলেন, “আমি আগে কখনো চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করিনি। কিন্তু বিদ্যা বালান পুরো বিষয়টিকে কৌশলে খুব সহজ করে তুলেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, সিনিয়র একজন অভিনেত্রী হিসেবে তিনি এটি তৈরি করতে পারেন।” 

হাসতে হাসতে চুম্বন দৃশ্যটি শেষ করেছিলেন, তা জানিয়ে প্রতীক বলেন, “সে (বিদ্যা) খুবই হাসিখুশি, সে সবকিছু একেবারে হালকা করে দিয়েছিল। আমরা হাসতে হাসতে দৃশ্যটি করে ফেললাম।”

সিনেমাটিতে আধুনিক সম্পর্কের সমীকরণ অন্বেষণ করেছেন নির্মাতা। মূলত, ডিভোর্সের দরজায় দাঁড়ানো এক দম্পতিকে ঘিরেই এগিয়েছে কাহিনি। স্বামী-স্ত্রী দুজনই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মুক্তির পর সিনেমাটি প্রশংসা কুড়ালেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি এটি।

‘দো আউর দো প্যায়ার’ সিনেমায় বিদ্যা-প্রতীক ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইলিয়েনা ডি’ক্রুজ, সেন্থিল রামমূর্তি প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চ ম বন দ শ য

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান নেই: ফরিদ আহমেদ

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেছেন, “ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বিএনপিতে স্থান দেওয়া হবে না। যদি এমন কেউ দলের মধ্যে থেকে থাকে তাহলে সেটি আমাদের জানাবেন। আমরা গণশুনানি করে ফ্যাসিবাদের সহযোগীকে সরানোর জন্য আমাদের সিনিয়র নেতাদের কাছে আবেদন করব।” 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাইমচরের আলগী বাজার আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পরিচিত ও প্রথম সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, “দলকে শক্তিশালী করার জন্য আগামী দিনে সম্মেলনের মাধ্যমে যাকেই আপনারা নেতা বানাতে চান সেটি নিশ্চিতে আপনাদের এবং কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো ফ্যাসিবাদের সহযোগীকে দলের মধ্যে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না। যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগিতা নিয়ে ১৬ বছরে আপনাদের ক্ষতি করেছে, তারা যেনো দলের কোনো জায়গায় আসতে না পারে সেদিকে আপনারা সতর্ক থাকবেন।”

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ

কম্প্রোমাইজ নয়, নির্বাচন হতেই হবে: তারেক রহমান

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম। হাইমচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিন উল্লাহ বেপারীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটোয়ারীর পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, কাজী ইসহাক খোকন, মো. মিজানুর রহমান শেখ, প্রভাষক হারুনুর রশীদ, খোরশেদ কোতওয়াল, বিল্লাল হোসেন আখন, আজিজুল হক বাবুল, সরদার আবু তাহের, সদস্য আক্তার হোসেন হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ।

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ