হোয়াইট হাউসে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম জাতীয় ট্র্যাজেডিতে দোষারোপের রাজনীতি করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের জন্য তিনি ডেমোক্রেট ও ফেডারেল সরকারের বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যোগকে দোষারোপ করেছেন।

বুধবার রাতে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে মাঝ আকাশে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারটি পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ৬৪ জন ও হেলিকপ্টারে ৩ জন আরোহী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কেউ বেঁচে নেই। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সরকারের তদন্তটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই ট্রাম্প বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প দাবি করেন, তার পূর্ববর্তী সরকারের বৈচিত্র্যপূর্ণ উদ্যোগের ফলে বিমান চলাচলের মান শিথিল হয়ে পড়েছিল। এই বিষয়টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।

বিষয়টি কিভাবে নিশ্চিত হয়েছেন জানতে চাইটে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমার সাধারণ জ্ঞান আছে, ঠিক আছে? দুর্ভাগ্যবশত, অনেক মানুষের তা নেই।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত নই’ দাবি বিএনপি নেতার

ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমি কোনোভাবেই দায়ী নই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতব্বর সাংবাদিকদের এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ৩০ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে আমার নামে পুলিশের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ওই সংবাদে আমার নেতৃত্বে ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের আরও দাবি করেন, তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তিনি ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে পুলিশের হাতে আটক ফারুক হোসেন বাকুকে ছিনিয়ে নেয় দুর্বিত্তরা।

ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয়ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।

এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ