বিপিএলে আগ্রাসী আচরণের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি পেয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। আগের বার জরিমানা হলেও এবার দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ; সাথে পেয়েছেন ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট। 

কারণ ২৪ মাসের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার ৪ ডিমেরিট পেলে তাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা। তবে সাকিব নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংসের বিপক্ষে তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের শেষ ম্যাচে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

ম্যাচের তৃতীয় ওভারে চিটাগংয়ে খেলা গ্রাহাম ক্লার্ককে আউট করে ব্যাটারের উদ্দেশে কিছু একটা বলেন সাকিব। ঘটনাটি নজর এড়ায়নি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের।

ম্যাচ শেষে দুই আম্পায়ার ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ জানান। পরে ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান শাস্তি হিসেবে সাকিবকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন। এর ফলে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া এই ক্রিকেটারকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

নারী ও কন্যাশিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়

সম্প্রতি নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখজনক হারে বাড়ছে। ঘরে–বাইরে কোথাও তারা নিরাপদ নয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ।

জুলাই আন্দোলনের এক শহীদের কলেজশিক্ষার্থী মেয়ের (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া ও ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে আজ রোববার এই বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

একই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার অভাব ও নারীদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে নারীপক্ষ। তাদের বিবৃতিতে এই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর পেছনে ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সমাজের অসংবেদনশীল আচরণ, অসাধু প্রভাব–প্রতিপত্তি, দুর্নীতি ও কাউন্সেলিং সেবা না থাকাকে দায়ী করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীতে বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে।

নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর সহিংসতা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, এসব ঘটনা নারীদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। এমন পরিস্থিতি নারীর অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতার কারণ।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও তার পরবর্তী লাঞ্ছনাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

ধর্ষণের শিকার নারীর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে নারীপক্ষ বলেছে, ভুক্তভোগী নারীর প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘ফ্যাসিবাদী আচরণের’ অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বললেন আসিফ মাহমুদ
  • সবুজ এলাকায় পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার কম হয়
  • রাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না, প্রকাশ হয়নি খসড়া ভোটার তালিকা
  • গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলাবিষয়ক কর্মশালা শুরু
  • মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার: শিক্ষা উপদেষ্টা
  • মেয়েদের সবকিছুতেই জ্বালা: রাতাশ্রী
  • কালবৈশাখীতে ঘরবাড়ি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
  • নারী ও কন্যাশিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়
  • নতুন করে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হৃদয়
  • ডাকসু নির্বাচনে আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড