চাঁদপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নুরুল ইসলাম নুরু ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বাগাদী চৌরাস্তা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মারা যাওয়া নুরু ভূঁইয়া জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি ষোলদানা এলাকার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেল বাস, নিহত ১

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি সাইকেলকে পাশ কাটিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন নুরু ভূঁইয়া। এসময় মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ট্রাক। 

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.

বাহার মিয়া বলেন, “চৌরাস্তায় ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নুরু ভূঁইয়া নামে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ