গ্রুপ পর্বের উত্তেজনা শেষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এখন দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বারপ্রান্তে। নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের শীর্ষ ৮ দল সরাসরি শেষ ১৬-তে জায়গা করে নিলেও বাকি ৮ স্থানের জন্য লড়তে হবে প্লে-অফে। প্লে-অফের জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছে ড্র, যেখানে একাধিক বড় দলের মুখোমুখি হওয়ার অপেক্ষা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় লড়াই হতে যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। 

এছাড়া শিরোপার অন্যতম দাবিদার পিএসজি মুখোমুখি হবে ফরাসি ক্লাব বেস্টের। ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার প্রতিপক্ষ বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ, জুভেন্টাস লড়বে নেদারল্যান্ডসের পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে। আরেক ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলান মুখোমুখি হবে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্দের।

জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবন, স্কটিশ ক্লাব সেল্টিকের সামনে অপেক্ষা করছে শক্তিশালী বায়ার্ন মিউনিখ। অন্যদিকে, ফরাসি ক্লাব মোনাকো খেলবে পর্তুগালের বেনফিকার বিপক্ষে।

এই প্লে-অফের বিজয়ী ৮ দল মূল পর্বের বাকি ৮ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শেষ ১৬-এর লড়াইয়ে নামবে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের অন্যতম শীর্ষ এই প্রতিযোগিতার প্লে-অফ পর্ব জমজমাট হতে যাচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ