নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে একনাম কীর্তনের উদ্বোধন
Published: 31st, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে তিন দিনব্যাপী একনাম কীর্তন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই আয়োজন করা হয়।
সিটি কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের পুরোহিত শান্তি ঘোষালের সভাপতিত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত একনাম কীর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একনাম কীর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার নিরসন হয়েছে। আপনারা নিশ্চিন্তে আপনাদের ভগবানের নাম কীর্তন করুন। কোন সমস্যা হলে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আপনাদের পাশে দাঁড়াবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যেভাবে নারায়ণগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলো মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা, তেমনিভাবে ভবিষ্যতেও আপনাদের সুখে দুখে আমাদেরকে পাশে পাবেন।
এসময় শ্মশানের পুকুরসহ নানা স্থাপনা নিয়ে চলমান সমস্যাগুলো দ্রুতই নিরসন করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা: মুজিবুর রহমান, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ দাস, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, জাতীয়তাবাদী হিন্দু কল্যাণ ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল সদস্য সচিব খোকন সাহা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা দাস মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্যসহ নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি
দেশে ৫ আগস্টের পর সবাই আন্দোলনমুখী হয়েছে এবং পুলিশ কিছু বলতে গেলে আন্দোলনে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুশ কুমার মজুমদার।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর আমাদের একটা ধারা দিয়েছে, সেটা হলো সবাই আন্দোলনমুখী হয়ে গেছে। আমরা এখন কিছু বলতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে চলে যায়।’’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যানজট নিরসন বিষয়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দিনাজপুরে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘সব কিছুতে¬— ভালো হলেও পুলিশকে গালি দিবে, খারাপ হলেও গালি দিবে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম, তখন নারায়ণগঞ্জে যানজট ছিল একটা মূখ্য বিষয়। আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিয়ে খারাপ দুটি অভিযোগ হলো— পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে এবং পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমাদের পুলিশের কাউকে যদি হাতেনাতে চাঁদা নিতে দেখাতে পারেন, আমি যদি তাকে সাসপেন্ড করে বাড়ি না পাঠাতে পারি, তাহলে আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো।’’
এসপি প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলে, পুলিশ চাইলেই ফুটপাত উচ্ছেদ করে দিতে পারে। এ নারায়ণগঞ্জে এক-দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৮শ’ পুলিশ। অথচ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩৫শ’ পুলিশ। ১৮শ’ পুলিশ দিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পর ৫৫ জন ট্রাফিকে এড করেছি। অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু বাস্তবে করা আসলে কঠিন। আমাদের যে পুলিশ আছে, তা দিয়ে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবো।’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘পুলিশ যদি বৈধ কাজ করে, অন্যায়ের কাজে জরিমানা করে; তাহলে আপনারা দয়া করে বাধা দিবেন না, এই কথা আপনাদের দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে রাস্তাগুলো ভালো না, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলেন না কিন্তু আপনারা পুলিশকে দোষারোপ করেন।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল