চাকরি স্থায়ী করতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীদের আল্টিমেটাম
Published: 31st, January 2025 GMT
আগামী সাত দিনের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ। চাকরি স্থায়ী করেত পাঁচ দফা দাবিও জানান তারা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে দৈনিক ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করে আসছি। আমাদের ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতো কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। কারণ আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে অধিকার পেতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড.
সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে দৈনিক ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করা কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে পাঁচটি দাবিও তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে দৈনিক ভিত্তিতে পিয়ন কাম গার্ড হিসাবে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়োগের ৯ মাস পর থেকে সার্কুলার অনুযায়ী স্থায়ীকরণ এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরও চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে; নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সবেতনে সকল প্রাপ্ত বোনাসসহ দেশের শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত অধিকার দিতে হবে; গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিবিধি অনুযায়ী মাসিক বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্রাচুইটি, ঋণ সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে; আন্দোলন ও সংগঠন দমনে শাস্তিমূলক ছাঁটাই, বদলী বন্ধ করতে হবে; আন্দোলনের কারণে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে; আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং চাকরি স্থায়ীকরণ করে নিয়োগের শুরু থেকে অদ্যাবধি সকল প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আলট ম ট ম স থ য় করণ স থ য় কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি স্থায়ী করতে গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীদের আল্টিমেটাম
আগামী সাত দিনের মধ্যে চাকরি স্থায়ী করা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ার হুমকি দিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ। চাকরি স্থায়ী করেত পাঁচ দফা দাবিও জানান তারা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রামীণ ব্যাংক চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আলাউদ্দিন আল মামুন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে দৈনিক ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করে আসছি। আমাদের ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মতো কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় না। কারণ আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে অধিকার পেতে চাই।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। এ ব্যাংকে আমরা দৈনিক ভিত্তিক কাজের লোক হিসাবে নিয়োজিত। ১৯৯২ সাল থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে নির্যাতিত ও বৈষম্যের শিকার। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে আমাদেরকে অস্থায়ীভাবে কাজ করানো হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতো নেই কোনো সুযোগ সুবিধা। সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি, চাকরি স্থায়ী করে মানবেতর জীবনযাপন থেকে আমাদেরকে বাঁচান।
সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে দৈনিক ভিত্তিক মজুরিতে কাজ করা কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করতে পাঁচটি দাবিও তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে দৈনিক ভিত্তিতে পিয়ন কাম গার্ড হিসাবে কর্মরত কর্মচারীদের নিয়োগের ৯ মাস পর থেকে সার্কুলার অনুযায়ী স্থায়ীকরণ এবং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরও চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে; নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র, সবেতনে সকল প্রাপ্ত বোনাসসহ দেশের শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত অধিকার দিতে হবে; গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরিবিধি অনুযায়ী মাসিক বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্রাচুইটি, ঋণ সুবিধাসহ সামাজিক নিরাপত্তার যাবতীয় সুবিধা দিতে হবে; আন্দোলন ও সংগঠন দমনে শাস্তিমূলক ছাঁটাই, বদলী বন্ধ করতে হবে; আন্দোলনের কারণে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করতে হবে; আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে এবং চাকরি স্থায়ীকরণ করে নিয়োগের শুরু থেকে অদ্যাবধি সকল প্রাপ্য পরিশোধ করতে হবে।