লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রামগঞ্জ থানার ওসি আবুল বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রামগঞ্জ থানার সামনে থেকে ছাত্র-জনতা নাজমুল কবীর শিশির নামের ওই নেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। 

গ্রেপ্তার শিশির রামগঞ্জ পৌরসভার মধ্য আঙ্গারপাড়া পাটোয়ারী বাড়ির মো.

নয়ন মাস্টারের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। 

আরো পড়ুন:

ময়মনসিংহে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি

ওসি আবুল বাশার বলেন, ‍“একটি চাঁদাবাজির ঘটনায় শিশিরের সম্পৃক্ত রয়েছে। জনতা তাকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত শিশিরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র মগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ