বাংলাদেশের প্রথম নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার চৌধুরী আর নেই।  

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শামসুন্নাহার চৌধুরী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন।

শামসুন্নাহার চৌধুরী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। হবিগঞ্জ জেলায় নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। 

১৯৮৮ সালে চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউপির চেয়ারম্যান চুনু চৌধুরী দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হওয়ার পর আলোচনায় আসেন তার স্ত্রী শামসুন্নাহার চৌধুরী। উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। তার দ্বিতীয় বিয়ে হয় চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহেরের সঙ্গে। এরপর দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শামসুন্নাহার চৌধুরী।

ঢাকা/আজহারুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ