নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ থেকে বিভেদে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সংগঠনের জেলা ও মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে কিছু শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ তোলেন, চাঁদাবাজ, আওয়ামী দোসর ও হত্যা মামলার আসামি কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। প্রকৃত বিপ্লবীরা স্থান পাননি। টাকার বিনিময়ে জেলা ও মহানগরের কমিটি দেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলা হয়।

আরো পড়ুন:

নৈতিক শিক্ষা দিলে শিক্ষার্থীরা দেশের সম্পদ হবে: আরএমপি কমিশনার

রাজশাহীতে ডা.

সাদির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

আরো পড়ুন: রাজশাহীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলে আলটিমেটাম

এরই প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে যৌথভাবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন সংগঠনের নবগঠিত জেলা কমিটির মুখপাত্র রোহানা হক সেতু ও মহানগরের মুখপাত্র আঞ্জুমান আরা হক আরশী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রাজশাহী জেলা ও মহানগর শাখার কমিটি আগামী ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটিকে বিতর্কিত করতে চাওয়া একটি বিশেষ গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে ষড়যন্ত্র করতে নানাবিধ চক্রান্তে ইতোমধ্যে লিপ্ত হয়েছে।”

কোনোভাবেই কোনোরকম ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না উল্লেখ করে বলা হয়, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেকোনো ইস্যুতে আমরা সকলকে পাশে চাই ও  যৌক্তিক সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমরাও পাশে সর্বদা অবস্থান করব।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আমাদের অনেক সহযোদ্ধা আছেন যাদের নাম এই দুই কমিটিতে আসেনি, তাদের সবার নাম দ্রুতই গঠিত হতে যাওয়া উপজেলা কমিটিগুলোতে ও বিশেষ সেলগুলোর এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কমিটিতে বাছাইকৃত সহযোদ্ধাদের বড় দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

“সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী মহানগর ও রাজশাহী জেলার আন্দোলনকারী সকল ভাই-বোনকে পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভেদে না জড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর আগামীর প্রত্যয় নিয়ে সামনে অগ্রসর হব।’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। 

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তী সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। আমরা দেখছি, প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীলতা। আমরা কোনো অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। আমরা পরিষ্কারভাবে আজ (মঙ্গলবার) আবারও এই সম্মেলনের মাধ্যমে বলতে চাই, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারবে। আমরা আশা করব, এ সরকারের প্রতি মানুষের যে প্রত্যাশা তা তারা পূরণ করবে। নির্বাচন বিলম্ব হলে যাদের সুবিধা হবে তারা আজ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি শক্তিশালী হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তৃণমূলে বিএনপির অবস্থান আরও দৃঢ় হবে। সেজন্য অনেকেই বিএনপির প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণের ষড়যন্ত্রে মেতেছে।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচার বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে গেছে, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। গত ১৫-১৬ বছর গুম খুন, হামলা, মামলা ও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপিকে যেতে হয়েছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বিএনপির চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তা থাকবে। বিএনপি জনগণের দল, বিএনপি জনগণের কথা বলে। অধিকার আদায়ের এ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারি, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি এই দেশকে এবং দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। যত বেশি গণতন্ত্রের চর্চার রাখতে পারব ততবশি দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে পারব।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম কথা বলছেন জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেবার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশে আমরা অস্থিরতা দেখতে চাই না। বাংলাদেশে বহু অস্থিরতা হয়েছিল। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দ্রুত দেশের এ অস্থিরতা দূর করা সম্ভব।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে সেটির দলের ভেতরে হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হোক না কেন, মতপার্থক্য থাকলে আমরা বসব, আলোচনা করব। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব যা দেশের জন্য শান্তির হবে, যা দেশে মানুষকে নিরাপদ করবে। মানুষকে কোনোভাবেই বিভেদে রূপান্তরিত হতে দিতে চাই না।’ 

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমি নিজেও বাড়িতে এক রাত ঘুমাতে পারিনি। অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে জনগণের বিজয় হয়েছে।’  
বুলু ড. ইউনুসের উদ্দেশে বলেন, ‘হাসিনা আপনাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন, বিএনপি এই হয়রানির প্রতিবাদ করেছিল। তারেক রহমান আপনার পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান আপনাকে সম্মান করেন। আপনি দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুন।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু। মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন, সাবেরা আলাউদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃঢ় ঐক্য, নেতাকর্মীর অপকর্ম ঠেকানোর কথা বলল তৃণমূল
  • জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে কী হয় ৫ আগস্ট দেখেননি
  • দেশের স্বার্থে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া
  • ঐক্য ও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে: তারেক রহমান
  • বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু, ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন খালেদা জিয়াও
  • নেতাকর্মীকে নির্বাচনমুখী করার বার্তা দেবে বিএনপি
  • ডিমের মূল্যবৃদ্ধির ষড়যন্ত্রে পিপলস পোলট্রির জরিমানা
  • সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান