আসক্তিমূলক নয় ( নন-ওপিওয়েড) এমন একটি ব্যথানাশক ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। প্রাপ্তবয়স্কদের স্বল্পমেয়াদি ব্যথার চিকিৎসায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।

ব্র্যান্ড নাম জারনাভ্যাক্স হিসেবে পরিচিত সুজট্রিজিন নামে এই ওষুধটি মানুষের শরীরের ব্যথার সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছানোর আগেই কাজ করতে শুরু করে। খবর বিবিসির

প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস জানিয়েছে, এই ওষুধটিতে আসক্তি সৃষ্টিকারী উপাদান ওপিওয়েড নেই। এটি মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথার উপশম করতে পারে।

বছরের পর বছর ধরে ব্যথানাশক ওষুধের আসক্তিজনিত সমস্যা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে ‘জাতীয় লজ্জা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন এবং জনস্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।

মানুষের শরীরে নতুন ব্যথানাশক ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এফডিএ বলেছে, অস্ত্রোপচারের পর ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে জারনাভ্যাক্স কার্যকারিতা দেখিয়েছে। এই ওষুধের অনুমোদন দেওয়াকে জনস্বাস্থ্য খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর হিসাব অনুসারে, প্রতিবছর আসক্তি উদ্রেগকারী ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়। ২০২২ সালে মাত্রাতিরিক্ত ওপিওয়েড ব্যবহারের কারণে ৮২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।


সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সীমান্ত করারোপ করবেন। চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপেরও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চীনের ফেন্টানিল রপ্তানিকে একটি কারণ উল্লেখ করে এই হুমকি দিয়েছেন তিনি।

ওপিওয়েড শরীরের ব্যথার সংকেতগুলোকে মস্তিষ্কে পৌঁছাতে দেয় না। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন মস্তিষ্ক নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিনে ভরে যায়। এটি আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। আর এসবের মধ্য দিয়ে ওপিওয়েড অনেক বেশি আসক্তি তৈরি করে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা সারাতে প্রায় ৮ কোটি মানুষকে ওষুধ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। ভারটেক্সের প্রধান নির্বাহী রেশমা কেওয়ালরামানি এই অনুমোদনকে ঐতিহাসিক মাইলফলক বলেছেন।

কোম্পানিটি বলেছে, জারনাভ্যাক্সের প্রতিটি ক্যাপসুলের দাম পড়বে সাড়ে ১৫ ডলার করে। তবে ওষুধটি শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর কি না, তা এখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেছে তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আসক ত

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে স্টিভেন স্মিথ

গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক দর্শকের ব্যানারেই ছিল প্রত্যাশার প্রকাশ- ‘৮৩৫৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে এসেছি স্মিথের ১ রান উদযাপন করতে।’ সেই আশা পূরণ হয়েছে। আজ আর অপেক্ষায় রাখেননি স্টিভেন স্মিথ। প্রথম বলেই মিড অনের দিকে ঠেলে দ্রুত এক রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান পৌঁছে গেলেন এক নতুন উচ্চতায়- টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের ক্লাবে।  

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হলেন স্মিথ। বিশ্ব ক্রিকেটে এ কীর্তি গড়েছেন মাত্র ১৫ জন। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এই অর্জন করেছেন রিকি পন্টিং (১৩৩৭৮ রান), অ্যালান বোর্ডার (১১১৭৪ রান) ও স্টিভ ওয়াহ (১০৯২৭ রান)।  

২০১০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর স্মিথ এখন পর্যন্ত খেলেছেন ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ। ৫৫.৮৬ গড়ে তার সংগ্রহ ১০ হাজারের বেশি রান, যেখানে রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৪১টি ফিফটি।  

ভারতের বিপক্ষে সিডনি টেস্ট শুরুর সময় স্মিথের প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রান করে আউট হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রানের প্রয়োজন ছিল তার। তবে ৪ রান করে  ৯৯৯৯-এ পৌঁছানোর পর আউট হন তিনি। শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের পর মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ৯৯৯৯ রানের মাথায় আউট হয়েছিলেন স্মিথ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোনালদোর রেকর্ড, ‘রেকর্ডের রোনালদো’ 
  • ‘দশ হাজার’ ক্লাবে স্টিভেন স্মিথ
  • টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলফলকে স্টিভেন স্মিথ