পতিত আওয়ামী সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতিসহ সব রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাজশাহী নগরীতে গণমিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। সেটি নগরের সোনাদীঘি মোড় ঘুরে একই স্থানে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়। 

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির ফাউন্ডেশন সম্পাদক মো.

আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও পাঠক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম।

পথসভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। বিরোধীমতকে দমন-পীড়ন করে তারা ক্ষমতায় টিকে ছিল লুটপাটের জন্য। এই দেশে তাদের বিচার হতে হবে। বিচারের আগে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তারা রাজপথে নামার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ছাত্রশিবিরের রাজশাহী জেলা (পূর্ব) সভাপতি রুবেল আলী, জেলা (পশ্চিম) সভাপতি ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁওয়ের সভাপতি আমজাদ আলী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

আজ বিশ্ব দেখেছে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাল্টা (রেসিপ্রোকাল) শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন, যা দীর্ঘ দিন ধরে GATT/WTO কাঠামোর মূল স্তম্ভ হিসেবে থাকা ‘সর্বাধিক অনুকূল দেশ’ (MFN) নীতির সমাপ্তি বা অন্তত উল্লেখযোগ্য রূপান্তরের সংকেত বহন করছে। এই নীতির ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকার, কারণ বিভিন্ন মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর ভিন্ন ভিন্ন পারস্পরিক শুল্ক হার আরোপিত হচ্ছে এবং নির্দিষ্ট পণ্যের ক্যাটেগরির ওপর শুল্কের হারও পরিবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে বিজয়ী ও পরাজিত দেশ নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশ আরও অস্থির ও অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই পরিবর্তন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে, কারণ তারা এমন এক অনিশ্চিত ব্যবস্থায় কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। এই নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নীতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার সংস্কারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মূল বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে হবে, যাতে বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় তার অবস্থান নিরাপদ থাকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ