ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও ভাঙ্গা পৌরসভার পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের ইমা আক্তারের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত ২২ জানুয়ারি সমকালে ‘মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ইমার’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরের আসার পর ইমার ভর্তিসহ লেখাপড়ার সব দায়িত্ব নিয়েছে ব্রিটিশ বাংলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের একটি আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।   

শুক্রবার দুপুরে মেডিকেলে ভর্তির খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা ইমা ও তার বাবার হাতে তুলে দেন ট্রাস্টের প্রতিনিধিরা।

ব্রিটিশ বাংলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিনিধি ফেরদৌস সানজিদ নিশো বলেন, সমকালে প্রকাশিত খবরটি দেখে ইমা ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ বাংলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। এটি একটি আন্তর্জাতিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ইমা আক্তারের মেডিকেলে ভর্তির জন্য ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করা হবে। ইমা ভবিষ্যতে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করলেও সহযোগিতা করবে ব্রিটিশ বাংলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। 

ইমার বাবা বিল্লাল শেখ বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে মেয়েকে এ পর্যন্ত এনেছি। আমার মেয়েকে সহযোগিতা করায় আমরা খুশি। যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ইমা বলেন, যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। ভবিষ্যতে ভালো চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহয গ ত

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি ছাড়া সব পদেই আ.লীগের জয়জয়কার

মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিরা ১৪টিতে জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদ ছাড়া অন্য সব পদে তারা জয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী এমদাদুল হক খান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে ৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে ১৫৬ ভোটে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন (শাকিল)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও জালালুর রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মিয়া পেয়েছেন ২৯ ভোট (নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় গণনা অথবা লটারি করে বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হবে)। সহ-সভাপতি পদে মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে মুনীর হাসান, সম্পাদক (মহরার) পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী ৫টি পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ী ৫ জন হলেন সৈয়দা তাহমিনা খানম, এনামুল হক, আবদুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান। এ ছাড়া সম্পাদক (অ্যাপায়ন ও বিনোদন) পদে বদরুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম মাওলা আকন্দ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া ১৪টি পদেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী কিংবা সমর্থক বিজয়ী হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের কোনো আইনজীবী নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনিও অন্য সবার মতন বিজয়ী হতেন বলে আমি মনে করি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।

তবে এমদাদুল হক খান সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তাদের সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে মূলত এমদাদুল হক খানকেই ভোট দিয়েছেন। সেকারণেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পরাজিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, এমদাদুল হক খানকে নির্বাচিত করায় সব আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বিজয়ে আমরা আনন্দিত।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় তাদের ছয়মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ