উয়েফা ইউরোপা লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে। চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো ইউরোপার রাতেও ফুটবল বিশ্ব আরেকবার ১৮ ম্যাচের মহরণের সাক্ষী হলো। তবে বড় দলগুলো আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলায় এ রাতের ম্যাচগুলো ঘিরে উত্তেজনা ছিল কিছুটা কম।

এবারের ইউরোপা খেলা সবচেয়ে বড় দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি পৌঁছে গেছে শেষ ষোলো। আরেক ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারও সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৩২ দলের রবিন রাউন্ড পদ্ধতির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্টুয়া বুখারেস্টকে ২–০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর নেড়েচেড়ে বসে রেড ডেভিলরা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে প্রথমে গোল করেন পর্তুগিজ ফুলব্যাক দিয়াগো ডালট। ৮ মিনিট পর ম্যাচের দ্বিতীয় ও শেষ গোলটি করেছেন কোবি মাইনু। এই ম্যাচ জিতে ৮ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউনাইটেড।

আরো পড়ুন:

রোনালদোর রেকর্ড, ‘রেকর্ডের রোনালদো’ 

নারী ফুটবলাররা বাটলারকে কোচ হিসেবে না চাওয়ার যত কারণ

 

আরেক ইংলিশ ক্লাব স্পার্স প্রিমিয়ার লিগে ধুঁকতে থাকলেও জয়ের দেখা পেয়েছে মহাদেশীয় দ্বিতীয় স্তরের এই আসরে। ড্যান স্কারল্যাট, ডামোলা এজাই এবং মিকি মুরের গোলে এলফসবোর্গের বিপক্ষে ৩–০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা। এই জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহাম শেষ করেছে চার নম্বরে থেকে।

টেবিলের শীর্ষ স্থানটি অবশ্য লাৎসিওর। যদিও বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিয়ান ক্লাবটি ১–০ গোলে হেরে গেছে ব্রাহার কাছে। এই জয়ের ফলেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে ২৫ নম্বরে থেকে আসর থেকে বাদ পড়েছে পর্তুগিজ ক্লাব ব্রাহা। অন্যদিকে প্রথম সাত ম্যাচে অপরাজিত থাকা লাৎসিও শেষ ম্যাচে হোঁচট খেয়েও, টেবিলে কোন পরিবর্তন হয়নি তাদের। টেবিলের তৃতীয় স্থানটি স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের।

ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর কয়েকটি অবশ্য সরাসরি শেষ ষোলোর টিকিট আদায় করতে পারেনি। যে তালিকায় এএস রোমা, আয়াক্স, পোর্তো ও রিয়াল সোসিয়েদাদের মতো ক্লাবগুলো। প্লে–অফ জিতেই শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করতে হবে তাদের।

শীর্ষ আটে থাকা ক্লাব গুলো সরাসরি শেষ ষোলোতে খেল্বে। এই তালিয়ায় আছে, লাৎসিও, অ্যাথলেটিক বিলবাও, ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম, এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, লিও, অলিম্পিয়াকোস ও রেঞ্জার্স।

অন্যদিকে টেবিলের ৯ নম্বর থেকে ২৪ নম্বর দলগুলো দুই লেগের প্লে–অফ খেলবে। সেই ২৪টি দল হচ্ছে গ্লিমট, আন্ডারলেখট, স্টুয়া বুখারেস্ট, আয়াক্স, রিয়াল সোসিয়েদাদ, গ্যালাতাসারে, রোমা,ফেরেঙ্কভারোস, ভিক্টোরিয়া প্লজেন, পোর্তো, মিডজিল্যান্ড, ইউনিয়ন সাঁত–গিলিওস, এজেড আলকমার, পিএওকে, টুয়েন্টে ও ফেনেরবাচে।

আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে প্লে–অফের ড্র।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ