মোদির থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৪ পরামর্শ দিলেন অক্ষয়
Published: 31st, January 2025 GMT
৫৭ বছর বয়সেও অক্ষয় কুমারের ফিটনেসের কাছে হার মানবে তরুণরাও। বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে সবচেয়ে সচেতন যদি কেউ থাকেন, তিনি খিলাড়ি। নিজে যেমন শরীর সচেতন, তেমনই অনুরাগীদেরও ফিট থাকার পরামর্শ দেন সর্বক্ষণ। এবার নরেন্দ্র মোদির থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় পরামর্শ দিলেন বলিউড অভিনেতা।
উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে ‘ন্যাশনাল গেমস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজকাল দেশে স্থূলতার সমস্যা খুবই বেড়েছে, বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ থেকে ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগের মতো অসুখ বাড়ছে।’
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন, দু’টি বিষয় খেয়াল রাখতে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এবং শরীরচর্চা। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, প্রতি দিন ১০ শতাংশ ভোজ্য তেল গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতে হবে।
এর পরেই বেশ কিছু পরামর্শ দেন অক্ষয়ও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই পরামর্শগুলো দেন তিনি।
অক্ষয় কুমার লেখেন, ‘একেবারে সত্যি! বহু বছর ধরে আমি এটাই বলে আসছি। খুব ভাল লাগছে, প্রধানমন্ত্রী নিজে এত ভাল করে বুঝিয়ে বলেছেন। স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সব কিছু ঠিক থাকে।’
স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করার কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন তিনি তার পোস্টে। লিখেছেন, ‘স্থূলতা দূর করতে হলে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম প্রয়োজন। টাটকা হাওয়া ও সূর্যের আলোও দূর করতে পারে স্থূলতা। তবে বাদ দিতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার। সঙ্গে অল্প তেলের খাবার খেতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি দেশি ঘিয়ে খাবার খাওয়া যায়। এছাড়া চলাফেরা করতে থাকুন। যে কোনও ধরনের শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আমার কথা বিশ্বাস করুন এবং এগিয়ে যান।’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অক্ষয়ের ছবি ‘স্কাইফোর্স’। এর আগে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘সিংহম আগেন’ ও ‘খেল খেল মে’ ছবিতে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’