রাজশাহীতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ
Published: 31st, January 2025 GMT
রাজশাহীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) গত আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মেহেদী হাসান ওরফে হিমেল। তিনি রাজশাহীর বেসরকারি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরে বসবাস করেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে নগরের মালোপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে মেহেদীকে ধরেন কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় তাকে মারধর করা হয়। মোবাইল চেক করে তাকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। পরে রিকশায় করে তাকে নগরের বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।
সেখানে ছিলেন রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুর রহিম। তিনি জানান, মেহেদী শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। রাজশাহীতে মাঝে মাঝেই ওই রেস্তোরাঁয় বসে মেহেদীসহ ছাত্রলীগের কয়েকজন নিয়মিত বৈঠক করতেন। খবর পেয়ে রাতে তারা সেখানে গেলে অন্যরা পালিয়ে যায়। তবে মেহেদীকে তারা ধরে ফেলেন। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নগরের বোয়ালিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনার একটি মামলা তিনি তদন্ত করছেন। সেই মামলায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/কেয়া/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু চায় চকলেট–ক্যান্ডি, কিন্তু দাঁতের কী হবে
শিশুরা চকলেট বা ক্যান্ডি পেলে খুশি হয়। মা–বাবাও জ্বালাতন সহ্য করার চেয়ে চকলেট ধরিয়ে দেওয়া সহজ মনে করেন। চকলেট মুখে পুরলেই শিশুর মুখে হাসি খেলে। কিন্তু এই হাসির আড়ালে শিশুর দাঁতে জেঁকে বসে অদৃশ্য শত্রু—ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের ক্ষয়। শিশুর দাঁত থাকে তুলনামূলক নরম–কোমল, কিন্তু এটাই অনেকে সবচেয়ে অবহেলা করেন। চকলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি, ডেজার্ট—এসব খাবার দাঁতের ফাঁকে আটকে থেকে ব্যাকটেরিয়ার চারণভূমি হয়ে ওঠে। আর সেই চারণভূমিতে বসে ব্যাকটেরিয়া দাঁতে আটকে থাকা চিনিকে ভেঙে তৈরি করে অ্যাসিড, যা ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেল গলিয়ে দেয়। শুরু হয় ক্ষয়, গর্ত, ব্যথা এবং শেষে শিশু হারায় দাঁত। তাহলে কী করবেন?
আরও পড়ুনসত্যি কি দাঁতে পোকা ধরে০১ আগস্ট ২০২২যেসব লক্ষণ অবহেলা করা যাবে নাদাঁতে সাদা বা কালো দাগ।
ঠান্ডা বা মিষ্টি খেলে অস্বস্তি বা শিরশির করা।
চিবাতে বা খেতে অনীহা।
দাঁতে গর্ত।
রাতে দাঁতের ব্যথায় কান্নাকাটি।
যা করবেনপ্রথমেই শিশুকে দাঁতের পরিচর্যা শেখান।
দিনে দুবার ছোটদের উপযোগী টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করতে শেখান, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দুই মিনিট ধরে।
চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে আনুন। শিশুকে বোঝান, এসব খাবারের জন্যই এমন কষ্ট হচ্ছে।
বোতলে দুধ খাওয়ানোর পর ব্রাশ বা পানি দিয়ে শিশুর মুখ ধুয়ে দিন।
প্রতি ছয় মাসে শিশুদের ডেন্টাল চেকআপ করান।
প্রয়োজনে ফ্লোরাইড ট্রিটমেন্ট ও সিল্যান্ট ব্যবহার করা লাগতে পারে।
স্বাস্থ্যকর দাঁত চিরস্থায়ী হয়। অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও অবহেলায় শিশুর মুখের হাসি হারিয়ে যেতে পারে। চকলেট–ক্যান্ডির পরিবর্তে শিশুকে আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি ইত্যাদি খেতে শেখান। এসব দাঁত মজবুত করে। আজই শুরু হোক দাঁতের সুরক্ষার অভ্যাস।
ডা. জেবিন জান্নাত, ডেন্টাল ইউনিট বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
আরও পড়ুনযত্ন নেওয়ার পরও বাচ্চার দাঁতে ক্যাভিটি হচ্ছে ?১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪