অর্পিতা নন, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শিকার সালমানের আরেক বোন
Published: 31st, January 2025 GMT
অর্পিতা ছাড়াও সালমান খানের আরও এক বোন রয়েছে যার নাম শ্বেতা রোহিরা। প্রতিবছর রাখিতে ভাইজানের হাতে রাখি পরান শ্বেতা। সম্প্রতি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর নিজেই জানিয়েছেন শ্বেতা।
দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শ্বেতা। সেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি। একটি পা পুরোপুরি ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধা। মুখেও সেলোটেপ বাঁধা। একটি হাতও ভেঙে গেছে। সব মিলিয়ে তাঁর যে ভীষণ করুন অবস্থা তা বোঝাই যাচ্ছে ছবিটি দেখে।
ক্যাপশনে শ্বেতা লিখেছেন, জীবন কি অদ্ভুত তাই না? এক মুহূর্তে যখন আপনি গুনগুন করে কাল হো না হো গান গাইছেন আপনার দিনটিকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য, ঠিক তার পরবর্তী মুহূর্তে আপনার জীবন আপনাকে রোমাঞ্চিত করার জন্য একটি বাইক পাঠিয়ে দেয়।
তিনি লেখেন, আমার কোনওরকম দোষ না থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে আমি আবিষ্কার করি যে আমি হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে উড়তে শুরু করে দিয়েছি। ঠিক যেমন বলিউডে স্লো মোশন দৃশ্যে দেখায়। তারপরেই আমি আমার নিজেকে হাসপাতালে পাই।
শ্বেতা আরও লিখেছেন, জীবন কখনও কখনও আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে ভাঙতে চায়, এতে আপনি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। ওই যে বলে না, ধ্বংস নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে। আমি জানি এটি কেবল একটি বাজে অধ্যায়, গোটা জীবন নয়। আমি আমার বিশ্বাস হারাইনি, আমার আশা আছে এই খারাপ সময়ও কেটে যাবে।
ভাইজানের বোন লেখেন, মনে রাখবেন যখন আপনার জীবনে কঠিন সময় আসবে তখন সেই মুহূর্তের কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করুন। যা ঘটছে তার প্রত্যেকটি মুহূর্তের উপর আস্থা রাখুন। জানবেন সবকিছুই অস্থায়ী, কোনও কিছুই চিরকালের জন্য নয়। আপাতত আমাকে হামটি ডামটির মতো দেখতে লাগতে পারে, কিন্তু আমি নতুন গান গুনগুন করতে করতে নিজের জীবনে ঠিক ফিরে আসব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন র জন য ন আপন
এছাড়াও পড়ুন:
কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম
নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। তবে এখন অভিনয়ে নেই। নানা ইস্যুতে আছেন আলোচনায়। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ সংলাপকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। সংলাপ ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। নিজের মানসম্মান নিয়ে বেঁচে আছি। সবাই আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসা নিয়েই জীবন চলে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে ভাইরাল হলো ‘‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি, এটার সঙ্গে তো আপনিও আলোচনায় এলেন...
দেখুন, ফিল্ম অনেক বড় বিষয়। প্রায় তিন দশক আগেও একটি সিনেমার ডায়ালগ নিয়ে মানুষ এখনও আলোচনা করছে। ‘চাচা, হেনা কোথায়? তার একটি দৃষ্টান্ত। গত এক মাস হলো আমি শুধু দেখছি, কীভাবে এটা পুরো দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। এটার দ্বারা প্রমাণ হয়, ভালো সিনেমা, ভালো সংলাপ ও ভালো শিল্পী কতটা দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী বাপ্পারাজ-শাবনাজসহ পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই। শাবনাজ যেহেতু এখন আমার জীবনসঙ্গী। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আলোচনায়।
বাপ্পারাজ-শাবনাজ জুটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
এটা তো পুরো দেশের মানুষের জানা। বাপ্পারাজের মতো অভিনেতা পাওয়া কঠিন। আমার স্ত্রী হিসেবে বলব না, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমাসহ সব সময়ই ও ভালো অভিনয় করেছে। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তারা দু’জনই এককথায় অসাধারণ অভিনয়শিল্পী।
দর্শক তো এখনও আপনাকে অভিনয়ে চায়। অভিনয়ে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আছে?
সেটা নির্ভর করবে নির্মাতা ও প্রযোজকের ওপর। তারা যদি আমার ইমেজ, স্টাইল ও প্রেজেন্টেশন নিয়ে ভেবে গল্প বানান আর আমার যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই করব। একটা সময় আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। তবে আমি কখনও বলিনি যে, আমি অভিনয় করব না কিংবা সিনেমা নির্মাণ করব না। এখনও আমার ইচ্ছে করে ভালো গল্প নিয়ে একটা সিনেমা বানাব। সিনেমা তো আমার ভেতরে। আমি তো কাজ করতে চাই। ক্যামেরার পেছনে বা সামনে; একটা সময় অবশ্যই আমি করব। তবে সময়টা বলতে পারছি না।
আমাদের সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কী?
অনেক ধরনের মানুষ নিয়ে একটা সিনেমা বানাতে হয়। এখানে নির্মাতা, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ অনেক বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করতে হয়। একটা ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে কীভাবে; এটা নিয়ে আমার একটা চিন্তা থাকতে পারে। আমার একার উদ্যোগ বা চিন্তা দিয়ে হবে না। এ ক্ষেত্রে সবার সমান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। তা হলে একটা ইন্ডাস্ট্রি আপনা আপনিই এগিয়ে যাবে।
আপনি তো সাংস্কৃতিক পরিবারের ছেলে...
হ্যাঁ, আমি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। উপমহাদেশে ১৯৩৮ সালে কিন্তু ঢাকার নবাব পরিবার থেকেই প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। তখন আমাদের পরিবার থেকেই ছিল নির্মাতা, নায়ক ও ক্যামেরাম্যান। অর্থাৎ আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, এটা ছিল একটা সাংস্কৃতিকমনা পরিবার।
সিনেমা হল সংকট নিয়ে কী বলবেন?
আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে তো দর্শক সিনেমা হলে আসবে। ভালো সিনেমা না বানিয়ে দর্শকদের বলব আপনারা হলে আসছেন না কেন? এটা তো ঠিক না। আগে আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে দর্শক সিনেমা হলে আসবে। হল এমনিতে বাড়বে। এখানে সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কারও একার প্রচেষ্টায় হবে না।
সিনেমার স্বর্ণযুগ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। ‘না’ বলে আমার কাছে কথা নেই। তবে টাইম লাগে। সবাই মিলে একযোগ হয়ে যদি একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সব সম্ভব।
ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন কিন্তু আপনি গ্রামে চলে গেলেন কেন?
ঢাকায় আমার দাদার বাড়ি আর টাঙ্গাইল নানার বাড়ি। ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। গ্রামের মাটির সঙ্গে তো প্রতিটা মানুষ জড়িত। আমরা বিভিন্ন বিভাগের মানুষ। কর্মজীবনে আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে আমরা কীভাবে বাড়ি চলে যায়! তো কোনো সময় আমি চিন্তাও করিনি যে বিদেশে স্থায়ী হবো। সব সময় ভেবেছি, এ দেশেতে আমার জন্ম, এ দেশের মাটিতে যেন আমার মৃত্যু হয়।