Risingbd:
2025-01-31@10:34:32 GMT

তবুও আফসোস নেই শরিফুলের

Published: 31st, January 2025 GMT

তবুও আফসোস নেই শরিফুলের

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ কয়েকটা সিরিজ মোটেও ভালো কাটেনি পেসার  শরিফুল ইসলামের। বাদ পড়েন আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ভালো যাচ্ছিল না। প্রথম ৯ ম্যাচে ওভারে প্রতি ৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র ৮ উইকেট! 

সেই শরিফুল জ্বলে উঠলেন শেষে এসে। প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে নিজেকে আরেকবার চেনালেন চিটাগং কিংসের এই পেসার। বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানে হারিয়ে আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস।

 ৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শরিফুল। বিপিএলে ৪ উইকেট নেওয়া কোনো বোলার এর আগে এত কম রান দেননি! 

আরো পড়ুন:

শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট

বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ 

এই ম্যাচে শরিফুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আফসোস বেড়ে যাওয়ার কথা। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পাননি এই ফাস্ট বোলার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেই শরিফুল জানালেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ না পেয়ে তার কোন আফসোস নেই।

যা হওয়ার তা হয়েছে সেটা নিয়ে মোটেই ভাবছেন না শরিফুল। নেই কোন আফসোস। চিটাগাং কিংসের এই বাঁহাতি বিপিএলের পারফরম্যান্স সামনেও ধরে রাখতে চান। আগামীতে ভালো কিছু হবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, “জানি না… তবে আফসোস নেই। আল্লাহ হয়তো ভালো কিছু কপালে লিখে রেখেছেন।”

বাস্তবতা মেনে নিয়ে শরিফুল মনোনিবেশ করছেন নিজের বোলিংয়ের দিকেই, “না না, খারাপ লাগছে না (দলে জায়গা না পেয়ে)। অনেক খুশি আমি, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।”

বিপিএলের শুরুর দিকে নিজের অস্ত্র ইনসুইং কাজ করছিল না। ঘাবড়ে না গিয়ে কাজ করেছেন কোচ শন টেইটের সঙ্গে। ফলও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। 

“আসলেই শুরুতে হচ্ছিল না। আমি নিজেও পরে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোচ তখন আমার সঙ্গে খুব পজিটিভ একটি মিটিং করেন। আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। সঙ্গে নাসু (অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ) ভাইও। তারা বলেন যে, যত ম্যাচ যাবে, তত রিদম ফিরবে।”

“এসব নিয়েই কাজ করছিলাম। অনুশীলনে নতুন বলে বেশি বেশি বল করছিলাম। এখন আর ফিরতে পেরেছি।ইনজুরির কারণে এফোর্ট একটু কম হচ্ছিল। শরীর আগেই পড়ে যাচ্ছিল। এটাই অনুশীলনে চেষ্টা করছিলাম-আরও যোগ করেন শরিফুল।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল উইক ট করছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম পর্ব শেষের পথে, প্লে-অফের লড়াই জমে উঠেছে। রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল ইতোমধ্যে শেষ চার নিশ্চিত করলেও, বাকি দুটি দল এখনো নির্ধারিত হয়নি। দুর্বার রাজশাহী শেষ মুহূর্তে দারুণ ফর্ম দেখিয়ে সমীকরণ জটিল করে তুলেছে, বিপাকে পড়েছে খুলনা টাইগার্স ও চিটাগং কিংস।

প্রথম পর্বের বাকি ছয় ম্যাচের পারফরম্যান্সই ঠিক করবে প্লে-অফে কারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট স্ট্রাইকার্স ছিটকে গেলেও, বাকি চার দল এখনো দৌড়ে টিকে আছে। 

প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাইবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। কারণ কোয়ালিফায়ার খেলতে পারলে আরও একটি সুযোগ পাবে তারা। এক্ষেত্রে চিটাগং কিংস অন্তত একটি ম্যাচ হারলেই শীর্ষ দুই নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।

দুর্বার রাজশাহীর সব ম্যাচ শেষ। খুলনা টাইগার্স দুটি ম্যাচের একটি হারলে রাজশাহী নিশ্চিতভাবেই প্লে-অফে যাবে। যদি খুলনা দুটি ম্যাচ জিতে, তাহলে নেট রান রেটের হিসাব চলে আসবে। এছাড়া চিটাগং কিংস তাদের তিন ম্যাচ হারলে প্লে-অফ নিশ্চিত হবে রাজশাহীর। তবে যদি চিটাগং একটি ও খুলনা দুটি ম্যাচ জেতে, তাহলে তিন দলের মধ্যে নেট রান রেটের হিসাব আসবে।  

চিটাগং কিংসের বাকি খেলাগুলো হবে রংপুর রাইডার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। তিন ম্যাচের সবকটি জিতলে সরাসরি প্লে-অফ নিশ্চিত হবে। দুই ম্যাচ জিতলে তৃতীয় হয়ে শেষ চারে যাবে। একটি জয় পেলেও প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে, তবে রাজশাহী ও খুলনার সঙ্গে নেট রান রেটের লড়াইয়ে পড়তে হবে। তিন ম্যাচ হারলেও খুলনা টাইগার্সের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।

রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলবে খুলনা টাইগার্স। দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেও প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকবে, তবে চিটাগং কিংসের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে। চিটাগং তিন ম্যাচ হারলে এক জয়েও খুলনা প্লে-অফে যেতে পারে, তবে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে হবে। দুই ম্যাচ জিতলেও রাজশাহীর সঙ্গে নেট রান রেটের সমীকরণে যেতে হবে।

প্লে-অফে খেলতে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ মেলাতে হবে ঢাকা ক্যাপিটালসকে। তারা এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে। তাদের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। এই দুই ম্যাচ জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্যদের দিকে। চিটাগং আর একটি কিংবা খুলনা দুটি ম্যাচ জিতলেই বাদ ঢাকা।

শেষ মুহূর্তের লড়াইয়ে কোন দুই দল জায়গা পাবে প্লে-অফে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ছয় ম্যাচের ফলাফলের জন্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাটলারে অনড়, প্ল্যান-বি বাফুফের
  • বিপিএল প্লে-অফে রংপুর-বরিশালের সঙ্গী হচ্ছে কারা