জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ কয়েকটা সিরিজ মোটেও ভালো কাটেনি পেসার শরিফুল ইসলামের। বাদ পড়েন আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) ভালো যাচ্ছিল না। প্রথম ৯ ম্যাচে ওভারে প্রতি ৯ রান দিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র ৮ উইকেট!
সেই শরিফুল জ্বলে উঠলেন শেষে এসে। প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে নিজেকে আরেকবার চেনালেন চিটাগং কিংসের এই পেসার। বৃহস্পতিবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৯৬ রানে হারিয়ে আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস।
৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শরিফুল। বিপিএলে ৪ উইকেট নেওয়া কোনো বোলার এর আগে এত কম রান দেননি!
আরো পড়ুন:
শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট
বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’
এই ম্যাচে শরিফুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আফসোস বেড়ে যাওয়ার কথা। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে সুযোগ পাননি এই ফাস্ট বোলার। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেই শরিফুল জানালেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ না পেয়ে তার কোন আফসোস নেই।
যা হওয়ার তা হয়েছে সেটা নিয়ে মোটেই ভাবছেন না শরিফুল। নেই কোন আফসোস। চিটাগাং কিংসের এই বাঁহাতি বিপিএলের পারফরম্যান্স সামনেও ধরে রাখতে চান। আগামীতে ভালো কিছু হবে বলেই বিশ্বাস করেন তিনি, “জানি না… তবে আফসোস নেই। আল্লাহ হয়তো ভালো কিছু কপালে লিখে রেখেছেন।”
বাস্তবতা মেনে নিয়ে শরিফুল মনোনিবেশ করছেন নিজের বোলিংয়ের দিকেই, “না না, খারাপ লাগছে না (দলে জায়গা না পেয়ে)। অনেক খুশি আমি, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।”
বিপিএলের শুরুর দিকে নিজের অস্ত্র ইনসুইং কাজ করছিল না। ঘাবড়ে না গিয়ে কাজ করেছেন কোচ শন টেইটের সঙ্গে। ফলও পেয়েছেন ইতিমধ্যে।
“আসলেই শুরুতে হচ্ছিল না। আমি নিজেও পরে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোচ তখন আমার সঙ্গে খুব পজিটিভ একটি মিটিং করেন। আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। সঙ্গে নাসু (অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ) ভাইও। তারা বলেন যে, যত ম্যাচ যাবে, তত রিদম ফিরবে।”
“এসব নিয়েই কাজ করছিলাম। অনুশীলনে নতুন বলে বেশি বেশি বল করছিলাম। এখন আর ফিরতে পেরেছি।ইনজুরির কারণে এফোর্ট একটু কম হচ্ছিল। শরীর আগেই পড়ে যাচ্ছিল। এটাই অনুশীলনে চেষ্টা করছিলাম-আরও যোগ করেন শরিফুল।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ব প এল উইক ট করছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিক–মাহমুদউল্লাহ কি আরও খেলবেন—জানতে চাইবে বিসিবি
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই হবে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য শেষ—এমন একটা সম্ভাবনা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতই হয়ে গিয়েছিল। তবে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেলেও অবসর নিয়ে নিজেদের কোনো ভাবনার কথা জানাননি সাবেক দুই অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলীয় পারফরম্যান্সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও ছিল বেশ খারাপ।
আরও পড়ুনবদলে গেল শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম১ ঘণ্টা আগেচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে মুশফিক শূন্য ও ২ রানে আউট হয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৪ রান করে। তাঁদের অবসর নিয়ে কথাবার্তা তাই আরও বেশি হচ্ছে।
এ নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয় আজ বোর্ড সভার পর। জবাবে ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন বলেছেন, ‘অবশ্যই। ওরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। যেকোনো খেলোয়াড়েরই একটা সময় আসবেই তার ক্যারিয়ার শেষ করার। আমার মনে হয়, ওদের সঙ্গে কথা বলব—ওদের চিন্তা কী আছে, সেটা নিয়ে আলাপ হবে।’
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান নাজমূল আবেদীন