একের পর এক বাধার মুখে পড়ছেন ঢাকাই শোবিজের শিল্পীরা। মেহজাবীন, পরীমণির পর সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এক রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে একই ঘটনার শিকার হন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। পুরো বিষয়টি নিয়েই শুরু থেকে নীরব ভূমিকায় ছিলেন অপু বিশ্বাস।

অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মুখ খুলেছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে অপু বিশ্বাসকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে যে খবর, তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন নায়িকা।

 জানা গেছে, ঢাকার কামরাঙ্গীচরে একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল অপু বিশ্বাসের। স্থানীয় ‘মুসল্লি’রা বিষয়টি জানতে পেরে সংগঠিত হয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে অপুকে ছাড়াই সেই রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন করা হয়।
 
এ প্রসঙ্গে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ‘একটি রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করতে অপু বিশ্বাসের আসার কথা ছিল। তিনি সময়মতো আসেননি। এ জন্য আমি ও রেস্টুরেন্ট মালিক মিলেই উদ্বোধন করেছি।’

তবে অপু বিশ্বাস কেন অনুষ্ঠানে যাননি, এমন প্রশ্নে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘মালিকপক্ষ থেকে যোগাযোগ করে বলল, আপু, টাইম শেষ। আপনি একটা সুন্দর ভিডিও পাঠিয়ে দিন।’ কিন্তু কেন, পাল্টা প্রশ্নে অপু জানান, ‘তাদের ইলেকট্রিসিটি সমস্যা ছিল।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জুমার নামাজের পর তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখে সড়কে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল করেন  কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় তারা কলেজের প্রধান ফটক  থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মহাখালী রেলগেট হয়ে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন।

এ সময় একজন শিক্ষার্থী বলেন, “রাষ্ট্রের আর কোনো টালবাহানা আমরা মানব না। রাজপথে নেমেছি, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাষ্ট্র আমাদের দাবি মেনে নিবে, ততক্ষণ আমরা আমাদের রাজপথের লড়াই ছাড়ব না।”

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রুপান্তরের ৭ দফা দাবিকে সরকারের ঘোষণা দিতে হবে। এটিই আমাদের এখন একমাত্র দাবি।” 

৭ দফা দাবি:
১।তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা।
২। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৩। শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন।
৪। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ল' এবং জার্নালিজম সাবজেক্ট সংযোজন।
৫। একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান।
৬। শিক্ষার গুনগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিতকরণ।
৭। আন্তর্জাতিকমানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান ও তাদের দাবি রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/হাফছা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ