ইজতেমা নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসের সতর্কতা জারি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেছেন, আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। বিদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় না তাদের কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি আছে। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমায় ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বলেন কমিশনার। 

জিএমপি কমিশনার বলেন, “ইজতেমার পরিবেশ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অনেক গুজব ছড়াবে, এটির বিষয়ে আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে।” 

এ সময় তিনি বলেন, “এখানে প্রচুর ভিক্ষুক লক্ষ করা যাচ্ছে, আমার মনে হয় এটা কোনো চক্রের মাধ্যমে ব্যবসায়ীক ভাবে বসানো হয়েছে। মানবিক কারণে উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তাদের অন্য কোনো স্থানে নিয়ে বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য ইজতেমায় দায়িত্বশীল মুসল্লিদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” 

জিএমপি কমিশনার আরো বলেন, “অনেক হকার বসেছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এবার অনেক শান্তিপূর্ণ ভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইজতেমা মাঠের আশপাশে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”

ইজতেমা আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে প্রথম ধাপের প্রথম পর্ব। প্রথম ধাপে অংশ গ্রহণ করবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। এরপর আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা।

এ ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকী অংশের মুসল্লিরা। দুই ধাপের আখেরি মোনাজাত হবে যথাক্রমে আগামী প্রথম পর্বের মোনাজাত ২ ফেব্রুয়ারি  দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাত ৫ ফেব্রুয়ারি।

৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে অংশ নিতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার থেকেই ময়দানে আসছেন বিশ্ব ইজতেমার আগত মুসল্লিরা। ইজতেমা মাঠের প্রায় প্রতিটি প্রবেশ পথেই মুসল্লিদের ঢল।

ঢাকা/রেজাউল/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম র র ব শ ব ইজত ম প রথম পর ব জ এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’

ক্যাম্পাসে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা জানানো হয়।

‘রাইজ ফর রাইটস (অধিকারের জন্য জাগো)’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ সাকিব। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী পত্র নন্দিতাকে। এ ছাড়া ইসমাঈল নাহিদ যুগ্ম আহ্বায়ক আর রুকাইয়া রচনা যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আর কখনো এই সংস্কৃতি যেন ফেরত না আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।

সংগঠনের আহ্বায়ক তাহমিদ সাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সংখ্যালঘু অধিকারও জাতিগত সম্প্রীতি রক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ প্রদানসহ ক্যাম্পাসে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

তাহমিদ সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনাগুলো আমরা দেখেছি। বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা আমরা দেখিনি। নারী শিক্ষার্থীরা এখনো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের ঘটনা আমরা দেখি না। এই সংগঠনটি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব পত্র নন্দিতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কম নয়, বরং অহরহ ঘটে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিসরে। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও এটা বিদ্যমান। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ডকুমেন্টেশন এবং অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাঁদের এই সংগঠন।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে আরও আছেন তাপসী রাবেয়া, হুরে জান্নাত, তাজফিহা উখরোজ, সামিয়া মাসুদ, সুরমি চাকমা, নাফিসা নুজহাত, ইসরাত জাহান, আবদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ