শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের গ্রুপ পর্ব। ১৮ ম্যাচের পাগলাটে রাতে নির্ধারিত হয়েছে কারা সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলবে, কারা প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে এবং কারা বাদ পড়েছে। গ্রুপ পর্বে আসলে তেমন কোনো অঘটনই ঘটেনি। শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছে দুই জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজি। গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া এড়ালেও স্বস্তিতে নেই পেপ গার্দিওলার সিটি। প্লে-অফে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখ। আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় হবে প্লে-অফ পর্বের ড্র। দুই লেগের প্লে-অফ শেষে হবে শেষ ষোলোর ড্র।
লিভারপুল, বার্সেলোনা, আর্সেনালসহ শীর্ষ আট দল সরাসরি শেষ ষোলোতে খেলবে। ৯ম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো প্লে-অফ খেলবে। প্লে-অফে জায়গা পাওয়া ১৬ দলের মধ্যে ৯ থেকে ১৬ নম্বরে থাকা দলগুলোকে বাছাই এবং ১৭ থেকে ২৪ নম্বরকে অবাছাই হিসেবে ধরা হয়েছে। প্লে-অফে বাছাই দলগুলো খেলবে অবাছাইয়ের বিপক্ষে। তাই বলে উন্মুক্ত ড্র হচ্ছে না। ৯ম ও ১০ম স্থানে দল প্লে-অফে পাবে ২৩ বা ২৪ নম্বর দলকে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুজকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ২২ নম্বর হয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সিটি। তারা মুখোমুখি হবে ১১ বা ১২ নম্বর দলের। ১১ নম্বরে আছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ১২ নম্বরে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফুটবলপ্রেমীদের ধারণা, রিয়ালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সিটি।
সিটি বস পেপ গার্দিওলা অবশ্য প্লে-অফ প্রতিপক্ষ নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না, ‘এই মুহূর্তে আমি ভীষণ বাস্তববাদী। ড্রতে যাদের পাব, তাদের বিপক্ষেই খেলতে হবে। একটি দল হলো টুর্নামেন্টের রাজা (১৫ বার শিরোপাজয়ী রিয়াল), আরেক দল সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয় রাজা (৬ বার জয়ী বায়ার্ন)। গত কিছুদিন ধরে রিয়াল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ভিনির (কোম্পানি) কোচিংয়ে বায়ার্ন দুর্দান্ত মৌসুম কাটাচ্ছে। আমরা খেলছি হাজার সমস্যাকে সঙ্গী করে। এই মুহূর্তে ওরাই ফেভারিট। তবে সপ্তাহ দুয়েক পর আমরা ভালো অবস্থায় থাকব।’ রিয়াল বস কার্লো আনচেলেত্তি অবশ্য রিয়ালকে এড়াতে চাচ্ছেন, ‘সিটির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সম্ভাবনা বেশি (সেল্টিকের তুলনায়)। সিটিকে পেলে আমাদের কাজ বেশি কঠিন হবে। সিটির বিপক্ষে খেলতে আমরা পছন্দ করি না।’ রিয়ালের ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম অবশ্য কাউকে ভয় পাচ্ছেন না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল গ র প পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন