বগুড়ায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালকের সহকারির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত ট্রাকের চালকের সহকারির নাম-প‌রিচয় জানা যায়‌নি।

‌বিষয়‌টি নিশ্চিত ক‌রে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, রনবাঘা বাসস্ট্যান্ডে মহসড়কে একটি অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লাগে বালুবাহী ট্রাকের। এর পরপরই বিপরীত দিক থেকে আসা মাছবাহী ট্রাকের সাথে বালুবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাছবাহী ট্রাকের চালকের সহকারি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। 

পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ট্রাকের কেবিন কেটে চালকের সহকারির লাশ উদ্ধার করে। এছাড়াও দুই ট্রাকের চালক, একজন সহকারি ও অটো রিকশার দুইজন যাত্রীকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, দুর্ঘটনার কারনে সকাল ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট লেগে থাকে। পরে হাইওয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুইটি হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

ঢাকা/এনাম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”

ঢাকা/পলাশ/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ