টাঙ্গ‌াইলের কা‌লিহাতী‌ মহাসড়‌কে অজ্ঞাত এক গাড়ির ধাক্কায় রা‌কিব মোল্ল‌্যা (২৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হ‌য়ে‌ছেন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়া‌রি) ভো‌রে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের উপ‌জেলার পুং‌লি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘ‌টে। 

নিহত রা‌কিব মোল্ল‌্যা ব‌রিশা‌লের লাকু‌টিয়া এলাকার রুহুল আমীন মোল্ল‌্যার ছে‌লে। তিনি মোটরসাইকেল‌যো‌গে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে যাচ্ছিলেন। 

এলেঙ্গা হাইও‌য়ে পু‌লিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

শরীফ ব‌লেন, “ঢাকা থে‌কে উত্তরবঙ্গগামী মোটরসাইকেল‌টি মহাসড়‌কের পুং‌লি এলাকায় পৌছা‌লে পেছন থে‌কে এক‌টি অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থ‌লে মোটরসাইকেল আরোহী রা‌কি‌বের মৃত‌্যু হয়। প‌রে তার মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে টাঙ্গ‌াইল জেনা‌রেল হাসপাতা‌লে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।” 

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে মর‌দেহ তার স্বজন‌দের কা‌ছে হস্তান্তর করা হ‌বে।”

ঢাকা/কাওছার/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাফর এক্সপ্রেসে জিম্মি ১০৪ যাত্রীকে উদ্ধার, ১৬ জঙ্গি নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি থাকা ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এসময় অভিযানে অন্তত ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন নিউজ জানিয়েছে, এখনো অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সেনারা। এর আগে মঙ্গলবার জঙ্গিরা রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে।

সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, ব্যালুচিস্তানের বলান জেলায় জাফর এক্সপ্রেসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে জিম্মি ১০৪ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ১৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। এছাড়া ১৭ জন আহত যাত্রীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীদের উদ্ধারে এখনো অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোয়েটা থেকে পেশওয়ার, খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের পর, সন্ত্রাসীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়। আক্রমণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে তাদের মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং নারী-শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এছাড়া এলাকার কঠিন ভূ-প্রকৃতি অভিযানকে আরও জটিল করে তুলছে।

আক্রমণকারীরা ট্রেনের উপর আক্রমণ করার আগে রেলপথে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা লোকোমোটিভে গুলি চালিয়েছিল, যার ফলে চালক আহত হন। ট্রেনটি একটি সুড়ঙ্গের ঠিক আগে থেমে যায়। আফগানিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একটি দুর্গম, পর্বতাঞ্চলীয় এলাকায় ট্রেনটি তারা দখলে নেয়। ট্রেনটিতে নারী ও শিশুসহ ৪৫০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিলো। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ