রংপুরের পীরগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী বাস সাদিকা তালুকদার পরিবহন যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী বাস রংপুর এক্সপ্রেস সাদিকা তালুকদার পরিবহনের পেছনে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে রংপুর এক্সপ্রেস-এর সম্মুখভাগ এবং সাদিকা তালুকদার পরিবহনের পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে প্রায় ২০ জন আহত হন। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। গুরুতর অবস্থায় ৬-৭ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজন পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। 

ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, স্থানীয় জনসাধারণ, ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ চালায়। গাড়ি ২টি ফাঁড়ি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত দ র পর

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ট্রলার থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমে জয় আহমেদ (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পূর্ণবাসন এলাকায় ঘাটে দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল প্রায় ৬ ঘন্টা চেষ্টা করেও ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে পারেনি ।

নিখোজ, জয় আহমেদ চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের ৬ নং ওয়ার্ডের বাস চালক মারুফ মিয়ার ছেলে। সে এবছর পিআরডি হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চনপাড়া পূর্নবাসন কেন্দ্রের পিআরডি হাইস্কুলের ৩৮ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী সরকারী মুড়াপাড়া পাইলট স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শিক্ষকদের সাথে একটি ট্রলার যোগে বাড়ী ফিরছিল।

ট্রলারটি চনপাড়াপূর্নবাসন কেন্দ্র এলাকার কাছাকাছি আসলে শিক্ষকদের নিষেধ করা সত্ত্বেও এসএসসি পরীক্ষার্থী জয় আহমেদ, ইফাজ, আসিফ, পরশ, ইসমাইল, তানভীর, আব্দুর রহমান ও রাকিব গোসল করতে নদীতে ঝাপ দেয়। এদের মধ্যে জয় আহমেদ ছাড়া বাকি সবাই তীরে উঠতে সক্ষম হয়।

এর পর থেকে নিখোঁজ জয় আহমেদ। বহু খোজাখুজির পর জয়কে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবন দেন পুলিশ। ঢাকা সিদ্দিক বাজার ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি ডুবুরি দল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও উদ্ধার করতে পারেনি নিখোজ জয়ের মরদেহ। সন্ধ্যার দিকে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উদ্ধারে নামে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের অধিনায়ক হুমায়ুন কবির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ