Risingbd:
2025-01-31@08:45:44 GMT

শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন

Published: 31st, January 2025 GMT

শীতকালে বিটরুট কেন খাবেন

বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই সবজি খুব উপকারি। এ ছাড়া বিটরুট শরীরের প্রদাহ কমায়।

দ্য হেলদি-এর তথ্য, বিটরুট অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর একটি সবজি।  এর রং গাঢ়। যার নেপথ্যে আছে ‘বিটালেইন’ নামের রঞ্জক উপাদান। নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বিটালেইনে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। যার ফলে বিটরুট প্রদাহ কমাতে পারে। বিটরুট খেলে শরীরে সহজে ক্লান্তি ভর করে না। শরীরে সারা দিন শক্তি স্থিতিশীল থাকে।

বিটরুটে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। এই সবজি খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিটরুট অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। পুষ্টি শোষণে সহায়তা দেয় বিটরুট। এতে থাকা বিভিন্ন খাদ্য-উপাদান অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের  ভারসাম্য ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ করে বিটরুট। এই সবজি পেটের প্রদাহ কমায়।

আরো পড়ুন:

হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন

শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নিময় মানা জরুরি

ডায়জেস্টিভ এনজাইমকে স্টিমুলেট করতে বিটরুট পিত্ত রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে খাবার হজমে কোনো সমস্যা হয় না। এমনকি লিভারে জমা টক্সিনও বের করে দেয় বিটরুট। এতে পেটে কোনো ক্রনিক রোগ থাকলে দূর হয়ে যায়। 

উল্লেখ্য, বিটরুট পাচনতন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে অন্ত্রে সহজেই অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। এতে অন্যান্য পুষ্টি সহজে গ্রহণ করতে পারে অন্ত্র। রঙিন এই সবজি নানাভাবে খাওয়া যায়। তরকারি, জুস, স্মুদি কিংবা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেতে পারেন।  

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা 

বড় কোম্পানিগুলো কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে আবারো সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ করছেন না ডিলাররা।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সয়াবিন তেলের সরবরাহ নেই। ডিলারদের পাঁচ কার্টন তেল অর্ডার দিলে এক কার্টন পাওয়া যায়। ফলে, অনেক ক্রেতা তেল না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। এখন বাজারে বোতলজাত ১ ও ২ লিটার সয়াবিন তেলের সংকট বেশি।

গত ৯ ডিসেম্বর বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিল মালিকদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের নতুন দাম অনুমোদন দেয়। সে অনুযায়ী, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ থেকে ১৭৫ টাকা, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা এবং খোলা পাম অয়েলের দাম লিটার প্রতি ১৪৯ থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়। এছাড়া, বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮১৮ থেকে বাড়িয়ে ৮৬০ টাকা করা হয় তখন।

মাছ, ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সবজির দাম কমেছে
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, সিম ২৫ টাকা, মুলা ১০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০, প্রতিটি পিস লাউ ৪০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি কেজি রসুন ২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কিছুটা কমেছে। এখন মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। বড় সাইজের চাষের পাঙাসের কেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, কৈ ১৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচশিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।

ডিমের দামও কমেছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম স্বাভাবিক আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা তানভীর হাসান রাইজিংবিডি বলেছেন, “বাসায় সয়াবিন তেল শেষ হয়েছে। তাই, আজ সয়াবিন তেল কিনতে বাজারে এসেছি। কিন্তু, ১ লিটার ও ২ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল পাচ্ছি না। ৫ লিটারের একটা বোতল পেয়েছি, দাম বেশি চাচ্ছে। দোকানদার বলছেন, বাজারে সয়াবিন তেল কম, তাই পাওয়া যাচ্ছে না। এখনই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে সামনে রমজানে কী হবে, সে চিন্তায় আছি। সরকারের উচিত, সয়াবিন তেলের দাম ও সরবরাহ ঠিক রাখা।”

রাজধানীর নিউ মার্কেটের রাইছা স্টোরের স্বত্বাধিকারী কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমরা অর্ডার দিয়ে ঠিকমতো সয়াবিন তেল পাচ্ছি না। ডিলাররা বলছেন, কোম্পানি ঠিকমতো তেল সরবরাহ করছে না। অনেক ক্রেতা এসে সয়াবিন তেল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। সামনে রমজানকে কেন্দ্র করে আরেক দফা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ