বিটরুটকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন বি২) ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ এই সবজি খেলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যা ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই সবজি খুব উপকারি। এ ছাড়া বিটরুট শরীরের প্রদাহ কমায়।
দ্য হেলদি-এর তথ্য, বিটরুট অ্যান্টি–ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহরোধী গুণে ভরপুর একটি সবজি। এর রং গাঢ়। যার নেপথ্যে আছে ‘বিটালেইন’ নামের রঞ্জক উপাদান। নাইট্রোজেনসমৃদ্ধ বিটালেইনে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান। যার ফলে বিটরুট প্রদাহ কমাতে পারে। বিটরুট খেলে শরীরে সহজে ক্লান্তি ভর করে না। শরীরে সারা দিন শক্তি স্থিতিশীল থাকে।
বিটরুটে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার। এই সবজি খেলে হজম শক্তি উন্নত হয়। এতে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিটরুট অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়। পুষ্টি শোষণে সহায়তা দেয় বিটরুট। এতে থাকা বিভিন্ন খাদ্য-উপাদান অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ করে বিটরুট। এই সবজি পেটের প্রদাহ কমায়।
আরো পড়ুন:
হাঁটবেন নাকি সিঁড়ি টপকাবেন
শীতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে নিময় মানা জরুরি
ডায়জেস্টিভ এনজাইমকে স্টিমুলেট করতে বিটরুট পিত্ত রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে খাবার হজমে কোনো সমস্যা হয় না। এমনকি লিভারে জমা টক্সিনও বের করে দেয় বিটরুট। এতে পেটে কোনো ক্রনিক রোগ থাকলে দূর হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, বিটরুট পাচনতন্ত্রে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এতে অন্ত্রে সহজেই অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে। এতে অন্যান্য পুষ্টি সহজে গ্রহণ করতে পারে অন্ত্র। রঙিন এই সবজি নানাভাবে খাওয়া যায়। তরকারি, জুস, স্মুদি কিংবা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেতে পারেন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।