সঙ্গীর সঙ্গে মনোমালিন্য হলে করণীয়
Published: 31st, January 2025 GMT
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সম্পর্কগুলো আরেকটু প্রাণবন্ত করার সুযোগ খুঁজে নিতে পারেন। প্রেম, বন্ধুত্ব কিংবা দাম্পত্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকবে। কোনো সম্পর্কই মসৃণভাবে এগোয় না। কখনও কখনও মনোমালিন্য প্রেম কিংবা অুনরাগেরই এক প্রকার প্রকাশ। কিন্তু রাগ পুষে রাখলে দূরত্ব বাড়বে। ইগো ধরে রাখতে গিয়ে বন্ধুত্ব হারাতে হতে পারে। অভিমান জমে জমে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। রাগ, অভিমান কিংবা দুঃখ সরিয়ে রাখার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
একজন নীরবতা ভাঙুন: সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে দুইজনের যেকোন একজনকে অবশ্যই নিরবতা ভাঙতে হবে। যেকোন বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে তাই বলে চুপ করে থাকবেন? এতে সম্পর্কে জটিলতা বাড়ে। নিরবতা ভাঙুন কোনো একটি ‘সফট ওয়ে’ খুঁজে বের করুন আর কথা বলতে শুরু করেন। এতেই সম্পর্কের বরফ গলা শুরু হবে!
ইগো সরিয়ে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিন: ইগোকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলছেন কিনা ভাবুন। নিরব থাকার প্রয়োজন থাকলে নিরব থাকুন তবে অ্যাগ্রেসিভ হবেন না। স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আপনার আচরণে যেন ইগো প্রকাশ না পায়।
আরো পড়ুন:
বারিশ হকের এই লুকগুলো দেখেছেন
চাকরিজীবী নারীর ত্বকের যত্ন
দোষ থাকলে স্বীকার করুন: ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি যে কথা ধরে সেই কথার উৎস খুঁজুন। আসলে ভুল কার? যার ভুল তার উচিত স্বীকার করা। এতে সম্পর্কে ভুল স্বীকার করার প্রবণতা বাড়বে। সম্পর্ক স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে। ভুল স্বীকার করা সঙ্গী বা বন্ধুর প্রতি আপনার অনুরাগের প্রকাশ হতে পারে।
খোলাখুলি কথা বলুন: সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হলে খোলাখুলি কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে জটিলতা দূর করা সহজ। কথা বলার এক পর্যায়ে দেখবেন সমস্যা মিটে গেছে।
হয়তো ভুলটি দুইজনেরই। তাহলে দুইজনই দুইজনকে ক্ষমা করে দিন। না হলে একটি ভুলের কাছে হাজারো ভালো স্মৃতিরা হেরে যাবে। ভালো স্মৃতিগুলো স্মরণ করুন এতে ক্ষমা করা সহজ হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ক র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কখনও বলিনি আমি আর অভিনয় করব না: নাঈম
নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক নাঈম। তবে এখন অভিনয়ে নেই। নানা ইস্যুতে আছেন আলোচনায়। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমায় ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ সংলাপকে কেন্দ্র করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি। সংলাপ ও সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন
কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। নিজের মানসম্মান নিয়ে বেঁচে আছি। সবাই আমাকে এবং আমার পরিবারকে ভালোবাসে। এ ভালোবাসা নিয়েই জীবন চলে যাচ্ছে।
হঠাৎ করে ভাইরাল হলো ‘‘চাচা, হেনা কোথায়?’ সংলাপটি, এটার সঙ্গে তো আপনিও আলোচনায় এলেন...
দেখুন, ফিল্ম অনেক বড় বিষয়। প্রায় তিন দশক আগেও একটি সিনেমার ডায়ালগ নিয়ে মানুষ এখনও আলোচনা করছে। ‘চাচা, হেনা কোথায়? তার একটি দৃষ্টান্ত। গত এক মাস হলো আমি শুধু দেখছি, কীভাবে এটা পুরো দেশের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। এটার দ্বারা প্রমাণ হয়, ভালো সিনেমা, ভালো সংলাপ ও ভালো শিল্পী কতটা দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী বাপ্পারাজ-শাবনাজসহ পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই। শাবনাজ যেহেতু এখন আমার জীবনসঙ্গী। সেই সূত্র ধরেই হয়তো আলোচনায়।
বাপ্পারাজ-শাবনাজ জুটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
এটা তো পুরো দেশের মানুষের জানা। বাপ্পারাজের মতো অভিনেতা পাওয়া কঠিন। আমার স্ত্রী হিসেবে বলব না, ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমাসহ সব সময়ই ও ভালো অভিনয় করেছে। জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। তারা দু’জনই এককথায় অসাধারণ অভিনয়শিল্পী।
দর্শক তো এখনও আপনাকে অভিনয়ে চায়। অভিনয়ে ফেরার কোনো পরিকল্পনা আছে?
সেটা নির্ভর করবে নির্মাতা ও প্রযোজকের ওপর। তারা যদি আমার ইমেজ, স্টাইল ও প্রেজেন্টেশন নিয়ে ভেবে গল্প বানান আর আমার যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই করব। একটা সময় আমি সিনেমা থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। তবে আমি কখনও বলিনি যে, আমি অভিনয় করব না কিংবা সিনেমা নির্মাণ করব না। এখনও আমার ইচ্ছে করে ভালো গল্প নিয়ে একটা সিনেমা বানাব। সিনেমা তো আমার ভেতরে। আমি তো কাজ করতে চাই। ক্যামেরার পেছনে বা সামনে; একটা সময় অবশ্যই আমি করব। তবে সময়টা বলতে পারছি না।
আমাদের সিনেমা শিল্পকে এগিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কী?
অনেক ধরনের মানুষ নিয়ে একটা সিনেমা বানাতে হয়। এখানে নির্মাতা, শিল্পী, টেকনিশিয়ানসহ অনেক বিষয় মাথায় রেখে চিন্তা করতে হয়। একটা ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াবে কীভাবে; এটা নিয়ে আমার একটা চিন্তা থাকতে পারে। আমার একার উদ্যোগ বা চিন্তা দিয়ে হবে না। এ ক্ষেত্রে সবার সমান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। তা হলে একটা ইন্ডাস্ট্রি আপনা আপনিই এগিয়ে যাবে।
আপনি তো সাংস্কৃতিক পরিবারের ছেলে...
হ্যাঁ, আমি নবাব স্যার সলিমুল্লাহর প্রপৌত্র। এজন্য আমি গর্ববোধ করি। উপমহাদেশে ১৯৩৮ সালে কিন্তু ঢাকার নবাব পরিবার থেকেই প্রথম সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। তখন আমাদের পরিবার থেকেই ছিল নির্মাতা, নায়ক ও ক্যামেরাম্যান। অর্থাৎ আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, এটা ছিল একটা সাংস্কৃতিকমনা পরিবার।
সিনেমা হল সংকট নিয়ে কী বলবেন?
আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে তো দর্শক সিনেমা হলে আসবে। ভালো সিনেমা না বানিয়ে দর্শকদের বলব আপনারা হলে আসছেন না কেন? এটা তো ঠিক না। আগে আমাদের ভালো সিনেমা বানাতে হবে। তাহলে দর্শক সিনেমা হলে আসবে। হল এমনিতে বাড়বে। এখানে সবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কারও একার প্রচেষ্টায় হবে না।
সিনেমার স্বর্ণযুগ কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। ‘না’ বলে আমার কাছে কথা নেই। তবে টাইম লাগে। সবাই মিলে একযোগ হয়ে যদি একটা প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাতে পারি, তাহলে সব সম্ভব।
ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অনেকেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন কিন্তু আপনি গ্রামে চলে গেলেন কেন?
ঢাকায় আমার দাদার বাড়ি আর টাঙ্গাইল নানার বাড়ি। ছোটবেলা থেকে নানার বাড়িতেই আমি বড় হয়েছি। গ্রামের মাটির সঙ্গে তো প্রতিটা মানুষ জড়িত। আমরা বিভিন্ন বিভাগের মানুষ। কর্মজীবনে আমাদের ঢাকায় থাকতে হয়। ঈদের ছুটিতে আমরা কীভাবে বাড়ি চলে যায়! তো কোনো সময় আমি চিন্তাও করিনি যে বিদেশে স্থায়ী হবো। সব সময় ভেবেছি, এ দেশেতে আমার জন্ম, এ দেশের মাটিতে যেন আমার মৃত্যু হয়।