ইমামের বিরুদ্ধে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
Published: 31st, January 2025 GMT
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ইমামের বিরুদ্ধে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার হাটকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ইমামের নাম আব্দুল আহাদ। ভুক্তভোগী শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মসজিদের পাশের বাড়ির ওই শিশুকে বাদাম খাওয়ানোর কথা বলে মসজিদের বারান্দায় নিজ ঘরে নিয়ে যান ইমাম। ধর্ষণের চেষ্টার সময় চিৎকারে শিশুটির মা দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয়রা সেই ইমামকে ধরেও ফেলে। তবে একপর্যায়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইমামকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো আব্দুল মোতালেব বলেন, শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত আব্দুল আহাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।