বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে ৭২টি দেশের ২২শ বিদেশি মেহমান এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। তারা নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান করে দেশ বিদেশের প্রাজ্ঞ আলেমদের বয়ান শুনছেন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুরায়ী নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। 

তিনি বলেন, বাদ ফজর বয়ান করেছেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক সাহেব। সকাল পৌনে ১০টায় খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। তালিমের আগে মোজাকেরা (আলোচনা) করবেন ভারতের মাওলানা জামাল সাহেব। শিক্ষকদের বয়ানের মিম্বারে বয়ান করবেন- মাওলানা ফারাহিম, ছাত্রদের সাথে নামাজের মিম্বারে বয়ান করবেন আলিগড়ের প্রফেসর আব্দুল মান্নান সাহেব, খাওয়াছদের (গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ) মাঝে টিনশেড মসজিদে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা আকবর শরিফ সাহেব।

ইজতেমা আয়োজকরা জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে দুই ধাপে। এর মধ্যে ৩১ শে জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হবে প্রথম ধাপের প্রথম পর্ব। প্রথম ধাপে অংশ গ্রহণ করবেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। এরপর আগামী ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা। 

এ ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকী অংশের মুসল্লিরা। দুই ধাপের আখেরি মোনাজাত হবে যথাক্রমে আগামী প্রথম পর্বের মোনাজাত ২ ফেব্রুয়ারি  দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাত ৫ ফেব্রুয়ারি।

৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদ অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে অংশ নিতে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার থেকেই ময়দানে আসছেন বিশ্ব ইজতেমার আগত মুসল্লিরা। ইজতেমা মাঠের প্রায় প্রতিটি প্রবেশ পথেই মুসল্লিদের ঢল।

ঢাকা/রেজাউল/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব শ ব ইজত ম ব শ ব ইজত ম র প রথম পর ব ন করব ন র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ