বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিকল্পনা শীর্ষস্থানীয় তুর্কি সংস্থার
Published: 31st, January 2025 GMT
তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী কেওসি হোল্ডিংস বিশ্বব্যাপী তাদের কারখানাগুলোতে পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে বাংলাদেশে একটি উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই পরিকল্পনার কথা জানান কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।
৬০ বিলিয়ন ডলারের এই তুর্কি কোম্পানির টেকসই ইউনিটের সভাপতি ফাতিহ কেমাল এবিচলিওগ্লুর নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ফাতিহ জানান, কয়েক বছর আগে তার কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড অধিগ্রহণের পর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে।
বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘‘আমরা আমাদের বিনিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি। বাংলাদেশে ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।’’
অধ্যাপক ড.
তুর্কি কোম্পানিটির প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করুন এবং এখান থেকে তুরস্ক, ইউরোপ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করুন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশ হালাল পণ্যের উৎপাদনকেন্দ্র হতে পারে। এছাড়াও এটি সহজেই একটি অ্যাসেম্বলি বিনিয়োগকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।’’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের আকস্মিক ঝটিকা মিছিল করার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ব্যস্ততম জিইসি মোড় এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ। মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী এই মিছিলটি জিইসি মোড় থেকে সিডিএ এভিনিউ’র দিয়ে সামান্য পথ এগিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ২০-২৫ জনের এই মিছিলটিতে কয়েকজনকে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। এদিন বিকেলের দিকে ওই মিছিলের প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ঝটিকা মিছিলের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে এই মিছিলটি হয়েছে বলে পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়। মিছিলটি অনেক সকালে হওয়ায় আশেপাশে কোনো পুলিশের টহল বা অবস্থান ছিলো না। মিছিলের আগে পুলিশের অবস্থান রেকি করেই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার মো. রকিবুল হাসান বলেন, “জিইসি এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকমিনিটের একটি ঝটিকা মিছিল হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে কার নেতৃত্বে এবং কারা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে তাদের অন্তত ১০-১২ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। অতি দ্রুত সময়ে তারা গ্রেপ্তার হবে বলে পুলিশ আশা করছে।”
এর আগে গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ে হঠাৎ ঝটিকা মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মিছিলে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের আরেকটি মিছিলের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এতে দেখা যায়, দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ৩০ থেকে ৫০ জন জামালখান এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে সরে পড়েন। এর পাঁচ দিন পর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন