আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় একের পর এক চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ঘটছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়েছে সুমন শেখের (২৬)। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া কবজি কাটা আনোয়ার গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আহত সুমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তিনি পিরোজপুর সদরের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত শেখের ছেলে।
ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী লিটন শেখ জানান, আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় ছিনতাইকারীরা কোপ দিয়ে সুমনের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাঁকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে
নেওয়া হয়।

কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে কবজি কাটা আনোয়ারের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছে–প্রধান সহযোগী রবিন, সাগর, রায়হান ও মুন্না। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

কবজি কাটা আনোয়ার তার সহযোগীদের সঙ্গে ঢাকা উদ্যান এলাকায় বৈঠক করে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বছিলা আর্মি ক্যাম্প থেকে একটি দল অভিযান চালায়। ছিনতাই, মাদকদ্রব্য সেবন, চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে রবিন। তারা কবজি কাটা আনোয়ারের ছত্রছায়ায় থেকে ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভিডিও তৈরি করে টিকটক ও ফেসবুকে আপলোড করে।

এদিকে আধিপত্য বিস্তার ও টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিরপুর পল্লবীতে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ব্লেড বাবু খুন হয়। ওই ঘটনায় এজাহারনামীয় প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো– রাজন ওরফে পিচ্চি রাজন ও তার ভাই রনি। গত বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে স্বপ্ননগর নতুন রোডের একটি চায়ের দোকানের পাশ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে গতকাল মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মিজানুর রহমান জানান, গত ২০ জানুয়ারি বিকেলে পল্লবীর বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে আধিপত্য এবং চুরি ও ছিনতাইয়ের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সন্ত্রাসী রাজন গ্রুপের সদস্যরা ব্লেড বাবুকে খুন করে। নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেছে।

মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যায় জড়িত সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাবু হত্যায়ও তার নাম শোনা যাচ্ছে। মুসার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুসা এই হত্যাকাণ্ডের ১ নম্বর আসামি।

কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, যেসব গ্যাংয়ের মাধ্যমে যে অপরাধ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ প্রবণতা কমাতে সিসিটিভির আওতায় আসছে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর

নারায়ণগঞ্জ শহরে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অপরাধ প্রবণতা কমাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ক্যামেরা স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

প্রাথমিকভাবে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে শুরু করে নূর মসজিদ, মেট্রোহল মোড়, ডাক বাংলো ও আর্মি মার্কেট পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন।

পর্যায়ক্রমে পুরো শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, নারায়ণগঞ্জ  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), মো. আলমগীর হুসাইন,  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সোহেল রানাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এসময় জলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এই এলাকাটি হচ্ছে আমাদের নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র। এখানে আমাদের জাতীয় দিবস থেকে শুরু করে মেলা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। তাই আমরা এই চাষাঢ়া এলাকাটাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দিতে চেয়েছি।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন সিটির কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর অধীনে অনেক কাজ চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় চাষাঢ়া থেকে শুরু করে ডাক বাংলো ও এপাশে নূর মসজিদ, আর্মি মার্কেট, মেট্রোহল মোড় পর্যন্ত এই পুরো এলাকা সিসি টিভির কাভারেজে নিয়ে এসেছি।

এখানে আমরা ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা পুরে শহরকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসবো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, সিসিটিভি আওতায় থাকলে আইনশৃঙ্খলা সহ নানা পরিস্থিতি নজরদারিতে অত্যন্ত সুবিধা জনক হবে। এতে করে কেউ কোনো ঘটনা ঘটিয়ে চলে গেলেও সিসিটিভির নজরদারির মাধ্যমে তাদেরকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে। 

স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জবাসীর নিরাপদ চলাচল, যানজট নিরসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমে জেলা প্রশাসক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলীয় শৃঙ্খলারক্ষায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না
  • কর্মস্থলে ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ 
  • মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় 
  • নোয়াখালীতে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য থামান
  • অপরাধ প্রবণতা কমাতে সিসিটিভির আওতায় আসছে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর
  • অপরাধ দমনে সিসিটিভির আওতায় চাষাড়া
  • ‘পাহাড়ে কাউকে চাঁদাবাজি-অস্ত্রবাজি করতে দেওয়া হবে না’
  • শেরপুরের ‘গজনী অবকাশ কেন্দ্রে’ পর্যটকের ভিড় বেড়েছে