সিলেটের জৈন্তাপুরের এক আলেম ও তার ছেলেকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় আলেম-উলামাসহ এলাকার লোকজন। জামাল হোসেন নামে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এক ব্যক্তি ওই পোস্ট করার পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকায় শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ করেন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে সমাবেশ শেষে সড়ক থেকে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা সিলেট-আবাবিল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
 
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও জামায়াতের জামাল আহমদ নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের প্রখ্যাত আলেম মরহুম আল্লামা শেখ আব্দুল্লাহ (হরিপুরী) ও তার ছেলে মাওলানা হেলালকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। তিনি স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গতকাল ঘটে গেল কানাইঘাটের মাটিতে এক বিশাল গীবত মাহফিল। তাতে.

.. ছেলে অসভ্য...আমার শ্বশুর আব্বাকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে কটূক্তি করে...আরেকজন শিক মৌলভির ছেলে... এমপির স্বপ্ন দেখে টালমাটাল।’

স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হরিপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার আলেমসহ ছাত্র জনতা। তারা ওই সময় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। জামাল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়। 

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”

ঢাকা/পলাশ/ইমন

সম্পর্কিত নিবন্ধ