আলেমকে নিয়ে কটূক্তি: সিলেটে বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ
Published: 31st, January 2025 GMT
সিলেটের জৈন্তাপুরের এক আলেম ও তার ছেলেকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় আলেম-উলামাসহ এলাকার লোকজন। জামাল হোসেন নামে জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত এক ব্যক্তি ওই পোস্ট করার পর বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকায় শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ করেন। রাত সাড়ে বারোটার দিকে সমাবেশ শেষে সড়ক থেকে চলে যান বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রায় এক ঘণ্টা সিলেট-আবাবিল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও জামায়াতের জামাল আহমদ নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের প্রখ্যাত আলেম মরহুম আল্লামা শেখ আব্দুল্লাহ (হরিপুরী) ও তার ছেলে মাওলানা হেলালকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। তিনি স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গতকাল ঘটে গেল কানাইঘাটের মাটিতে এক বিশাল গীবত মাহফিল। তাতে.
স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হরিপুর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন এলাকার আলেমসহ ছাত্র জনতা। তারা ওই সময় জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। জামাল প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প
ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।
ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।
মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।
ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।
ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।