চট্টগ্রামে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদের (অব.) ওপর হামলার ১৪ বছর পর ২০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলাটি হয়। আদালত মামলার আবেদন গ্রহণ করে সরাসরি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য নগরীর কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুর-ই খোদা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

বাদীর আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, আর্জিতে থাকা ২০১ জন আসামির বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণে আদালত থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চেমন আরা তৈয়ব, চন্দনাইশ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের নাম রয়েছে।
 
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় হাজিরা দিতে ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান অলি আহমদ। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অলি আহমদ ও তাঁর সঙ্গে যাওয়া এলডিপির নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। অলি আহমদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

পাঁচ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চলে আসা ইর্ন্টান চিকিৎসকদের সপ্তাহব্যাপী চলমান র্কমবরিতি র্কমসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লাস বর্জন র্কমসূচওি প্রত্যাহার করে নয়িছেনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে ‘চমেক শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকবৃন্দ’ ব্যানারে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবশে অনুষ্ঠতি হয়। এতে ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবির প্রতি সর্মথন জানিয়ে বক্তব্য দেন চমেক অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন এবং উপাধ্যক্ষ আবদুর রব। এসময় তারা আদালতের রায় আসা পর্যন্ত কর্মসূচি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। রায়ের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানান তারা। এরপর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় ইর্ন্টান চিকিৎসকরা।

অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দীন বলেন, সরকারিভাবে দাবির বিষয়গুলো মীমাংসার চেষ্টা চলছে। ১২ মার্চ আদালতের একটি রায় আসার কথা রয়েছে। তাই আমি সবার প্রতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার উচিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করা।

তসলিম উদ্দীন বলেন, বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। এই দাবির পক্ষে রয়েছে অনেকেই। পাশাপাশি পাঁচদফা দাবিগুলোও আমরা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি শিগগির এ ব্যাপারে ইতিবাচক নির্দেশনা আসবে।

এই দুই দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন ইতিবাচক বক্তব্যের পরপরই র্কমবরিতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন ইর্ন্টান ডা. আহমদ হাসনাইন। পাশাপাশি ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহাররে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন।

ডা. আহমদ হাসনাইন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরা র্কমসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, পাঁচ দফা দাবিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছিলেন চমেকের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফ্রান্সে বাংলাদেশ কমিউনিটির ইফতার মাহফিল
  • পিএসসির সাত সদস্য শপথ নিলেন
  • চমেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
  • পেরেক-গাঁথা কাঠ দিয়ে পেটানো হয় দুজনকে
  • পিএসসির নতুন সদস্যদের শপথ কাল
  • ঢাবি গণিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী
  • অনুবাদকেরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন: আলী আহমদ 
  • গজারিবনে পড়ে ছিল চালকের রক্তাক্ত লাশ, আধা কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা
  • ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন প্রত্যাহার