এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মিনিস্টার প্যাভিলিয়নে মিলছে নানা অফার। এর মধ্যে অন্যতম ‘কোটিপতি হোন’ অফার।  ‘কোটিপতি হোন’ অফারে বাণিজ্য মেলা কিংবা দেশের যেকোনো মিনিস্টার বিক্রয় কেন্দ্র থেকে মিনিস্টার ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় স্ক্র্যাচ কার্ড। এই স্ক্র্যাচ কার্ডেই রয়েছে কোটিপতি হওয়ার সুযোগসহ নানা চমক। 

আরও রয়েছে, একটির সঙ্গে আরেকটি ফ্রি, গিফট বক্স, বিশাল ডিসকাউন্টসহ নিশ্চিত উপহার।

প্যাভিলিয়নের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
টিভি: বাণিজ্য মেলায় মিনিস্টার নিয়ে এসেছে ২৪ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৭৫ ইঞ্চি পর্যন্ত বিভিন্ন মডেলের স্মার্ট ও বেসিক টিভি। মেলায় মিনিস্টার টিভিতে চলছে ৪০% পর্যন্ত মূল্যছাড়। মেলাতে মিনিস্টার ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট অ্যান্ড্রয়েড এলইডি টিভি এখন মাত্র ১৭,৯০০ টাকায় সাথে আকাশ ডিটিএইচ ফ্রি। মিনিস্টারের বেশ কিছু  স্মার্ট টিভির মডেল গুলোতে রয়েছে QLED, 4K,অফিশিয়াল গুগল সার্টিফাইড এবং ফুল এইচডিসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি, যা দর্শকদের প্রিমিয়াম ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।

ফ্রিজ: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং ৭৫% এনার্জি সেভিং সুবিধাসহ মিনিস্টার ফ্রিজ ক্রেতাদের বেশ আকর্ষণ করছে। মেলাতে রয়েছে মিনিস্টারের ১৬৫ লিটার থেকে ৬০০ লিটার ক্যাপাসিটির ফ্রিজ ও ফ্রিজার মডেল। মিনিস্টার ফ্রিজে চলছে ৫৫% পর্যন্ত মূল্যছাড়। মিনিস্টার ৬০০ লিটারের ৬ ডোর ফ্রিজের শোরুম মূল্য ১৫৪৮৩৯ টাকা হলেও বাণিজ্য মেলার মিনিস্টার প্যাভিলিয়নে এই ফ্রিজটির অফার মূল্য ৫৫% ডিসকাউন্টে মাত্র ৭০ হাজার টাকা।
  
এয়ার কন্ডিশনার: ৭৫% বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি মিনিস্টার এয়ার কন্ডিশনার মেলায় বিশেষ অফারে ৩০% মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।

ওয়াশিং মেশিন: আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ মিনিস্টার ওয়াশিং মেশিনে চলছে ৬ হাজার টাকা মূল্যছাড়। মিনিস্টারের ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করে তুলছে।

মাইক্রোওয়েভ ওভেন: বাণিজ্য মেলাতে মিনিস্টার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে চলছে ৫ হাজার টাকা মূল্যছাড়। 

কিচেন এপ্লায়েন্স: মিনিস্টার রাইস কুকার, ইলেকট্রিক কেটলি, গ্রাইন্ডার, আয়রন এবং অন্যান্য পণ্যগুলোতেও মিলছে ৪৭% পর্যন্ত আকর্ষণীয় মূল্যছাড়। বাণিজ্য মেলায় মিনিস্টার ৩ লিটার রাইস কুকারের মূল্য মাত্র ৩০৯০ টাকা এবং ২.

৮ লিটার রাইস কুকারের মূল্য মাত্র ২৬৯০ টাকা এছাড়াও উভয় রাইস কুকারে সাথে থাকছে ১ হাজার টাকার গিফট বক্স ফ্রি। 

মিনিস্টার দিচ্ছে বাণিজ্য মেলার মিনিস্টার প্যাভিলিয়ন থেকে ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্যের মাত্র ২০% বুকিং মানি পরিশোধ করে নিকটস্থ মিনিস্টার শোরুম থেকে কিংবা ফ্রি হোম  ডেলিভারি সুবিধায় ক্রয়কৃত পণ্য বুঝে নেওয়ার সুযোগ।   

অফারটি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস সোহেল কিবরিয়া বলেন, ‘মিনিস্টার ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড সব সময় ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মিনিস্টার ‘কোটিপতি হোন’  অফারটি বাণিজ্য মেলার মিনিস্টার প্যাভিলিয়নে এবং একই সাথে  দেশব্যাপী মিনিস্টারের  হাজারের অধিক  নিজস্ব শোরুম ও ডিলার পয়েন্টে একযোগে চলমান আছে। মিনিস্টার ‘কোটিপতি হোন’ অফারে বেশ কয়েকজন লাখপতি বিজয়ী পেয়েছি এছাড়াও, ফ্রিজ, টিভি ফ্রিসহ অনেকেই নানান ধরনের লক্ষ লক্ষ টাকার উপহার পেয়েছেন। আশা রাখছি খুব দ্রুত আমরা আমাদের কোটিপতির দেখা পেয়ে যাবো। এই অফারে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। এটা দারুণ ব্যাপার যে, আমাদের সকল ধরণের ক্রেতাই উক্ত অফারটিকে সাদরে গ্রহণ করেছেন।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ