খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার সরকার হত্যা মামলায় এক সপ্তাহেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। অর্ণবের বন্ধু গোলাম রব্বানীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি। সন্দেহভাজন আরও দু’জনকে আটক করা হলেও মেলেনি গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবারের সদস্যরা। 
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অর্ণবকে হত্যার পর ২৪ জানুয়ারি তাঁর বন্ধু গোলাম রব্বানীকে আটক করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেননি।
গত বুধবার রাতে সন্দেহভাজন আসামি সোনাডাঙ্গা আদর্শপল্লি এলাকার রমজান শেখ ও মুন্সীপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম তুরানকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য মেলেনি।
গত ২৪ জানুয়ারি রাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে নগরীর তেঁতুলতলা এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মামলার তদন্তে বড় কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহতের পরিবারের সদস্যরা। অর্ণবের বাবা নীতিশ সরকার বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। তাকে কী কারণে হত্যা করা 
হয়েছে তা আমরা জানি না। পুলিশও কোনো কারণ জানাতে পারেনি। 
নিহতের ছোট চাচা সুকুমার সরকার বলেন, অর্ণবকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। থানায় যোগাযোগ করলে তারা শুধু বলছে যে, তারা চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
অর্ণবের মা লিপিকা শীল বলেন, এক সপ্তাহ পরও আমরা জানতে পারিনি কেন অর্ণবকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করল। এটুকু জানতে পারলেও মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত হত্যার কারণ উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করুক।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, অর্ণবকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকটি এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। 
তিনি বলেন, প্রেম-সংক্রান্ত বিষয়ে কারও সঙ্গে অর্ণবের বিরোধ ছিল কিনা, তার বাবার ব্যবসা নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কোনো বন্ধু কিংবা সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে অর্ণবের দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব। 

পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ
  • ফেসবুক লাইভে এসে নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা
  • ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ পরিবারের
  • বাংলাদেশকে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ দেখছে জিম্বাবুয়ে
  • লেনিন কেন এখনও জরুরি
  • মিয়ানমার জান্তার মরিয়া চেষ্টা
  • হাওরে হাওরে ধান কাটার ধুম