রেবেকা রস তাঁর জনপ্রিয় ফ্যান্টাসি উপন্যাস ‘লেটার্স অব এনচ্যান্টমেন্ট’-এর জগতে ফিরে আসছেন। এই বছরের শেষ ভাগে ২ সেপ্টেম্বর গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার কথা। রেবেকার ‘ওয়াইল্ড রেভারেন্স’ গ্রন্থটি প্রকাশ করবে প্রকাশনা সংস্থা স্যাটারডে বুকস। উপন্যাসটি অল্পবয়সী দেবী মাতিল্ডাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। নিয়তি এক নশ্বর পুরুষ ভিনসেন্টের সঙ্গে এই দেবীর সংযোগ ঘটায়। ভিনসেন্ট ১০ বছর আগে তাঁর সাহায্য চেয়েছিলেন। মাতিল্ডার জন্য দেবতাদের রক্তে ভেজা পথ পুনর্লিখনের সুযোগ আসে; তবে অপরিসীম ত্যাগের বিনিময়ে। প্রকাশনা সংস্থা সেটারডে বুকস এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তাকে (মাতিল্ডা) এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে, যা সে তাঁর জাদু হারানোর চেয়েও বেশি ভয় পায়– দুর্বল হওয়া এবং অবশেষে নিজেকে ভালোবাসার সুযোগ দেওয়া।’ এই উপন্যাস রেবেকার ‘ডিভাইন রিভালস’ ও ‘রুথলেস ভউস’-এর মতো ফ্যান্টাসি উপন্যাসের ধারাবাহিকতা। তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘দ্য কুইন্স রাইজিং’, ‘সিস্টার্স অব সোর্ড অ্যান্ড সং’, ‘ড্রিমস লাই বিনিথ’ এবং ‘আ রিভার এনচ্যান্টেড’। ইনস্টাগ্রামে নতুন বই প্রকাশের খবর জানিয়ে রেবেকা বলেন, ‘আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এতদিন ধরে এই খবরটি ধরে রেখেছি; অবশেষে এই বইটি সম্পর্কে কথা বলতে পেরে আমি খুবই উদ্বেলিত।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপন য স
এছাড়াও পড়ুন:
মতপার্থক্য থাকবে, ঐক্যের জায়গা চিহ্নিত করতে হবে: আলী রিয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাজে মতপার্থক্য থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। কিন্তু সহিষ্ণুতা থাকতে হবে। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক বাংলাদেশ’-এর সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান রচিত ‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনায় আলী রিয়াজ বলেন, সবার মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে যাতে এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এজন্য এমন একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যের কাঠামোতে আসতে হবে, রাষ্ট্র তার নাগরিকের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে। ফলে নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত হবে, তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। রাষ্ট্র জবাবদিহির মধ্যে চলবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন কথা বলতে পারে, কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে পার্থক্য থাকবেই। দেখতে হবে ঐক্যের জায়গাটা কোথায়। ঐক্যের জায়গাটা চিহ্নিত করতে হবে। সেই সনদ তৈরি করতে হবে যা আসলে সামাজিক চুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে, যেটি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য দিকনির্দেশনা দেবে। এটিই হবে বাংলাদেশের সনদ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় নিরাপত্তা, ভোটের অধিকার এবং সরকার যেন তাকে না জানিয়ে যা খুশি তা করতে না পারে। মতপার্থক্যকে শত্রুভাবাপন্ন ভাবলে হবে না।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আজকেও যারা গৃহযুদ্ধের ভয় দেখাচ্ছে, সেটি আমার কাছে অমূলক মনে হয়। গৃহযুদ্ধ হতে হলে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত একটা দেশ লাগে।’
প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশক মেছবাহ উদ্দিন আহমদ। চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক আদিত্য শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ, আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের কো-চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান ও নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।