বৈষম্যবিরোধীর পাবনা জেলা কমিটিতে পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৮ কর্মী
Published: 30th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩০৬ সদস্যের পাবনা জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কমিটিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের আটজন কর্মী পদ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রা আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির কথা জানানো হয়।
এ কমিটিতে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী বরকুতুল্লাহ ফাহাদকে আহ্বায়ক এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কমিটিতে সংগঠক হিসেবে পদ পেয়ছেন হামিম মাহমুদ এবং মুখপাত্র হিসেবে পদ পেয়েছেন শফিক রেহমান কাদের, আল শাওভির সিফাত, আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও মোহা.
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, সদস্য পদ পাওয়া রাসেল আহমেদ, মোকাররম সজিব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো নুরুল্লাহর অনুসারী ছিলেন। সংগঠক হিসেবে পদ পাওয়া শাহীন হোসেন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং গত বছর ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মিছিলে অংশগ্রহণও করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন একটি নিরপেক্ষ ও ন্যায়ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠার কথা থাকলেও এখানে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে করে আন্দোলনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের একাংশ কৌশলে এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে চাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “কমিটিতে ছাত্রলীগের নাম সমন্বয়কদের মাধ্যমেই গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৭ জুলাই এদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের মিছিলে অংশ নিয়েছে। অথচ তারা আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটিতে পদ পেয়েছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাম কেন্দ্রে গেছে সমন্বয়ক মনজুরুল ইসলামের মাধ্যমে। ছাত্রলীগের যাদের নাম কমিটিতে দেওয়া হয়েছে, এদের কয়েকজনের সঙ্গে মনজুরুলের সম্পর্কও ভালো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার সদস্য সচিব মনজুরুল ইসলাম বলেন, “এখানে যাদের নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তারা যে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল তা আমার জানা ছিল না। কিছুক্ষণ আগেই আমি ওদের বিষয়ে জানতে পেরেছি এবং আমি কেন্দ্রে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা দ্রুত নামগুলো কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মনজ র ল পদ প য় কম ট ত সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গণপিটুনিতে গরু চোরের মৃত্যু, গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালের গৌরনদীতে গরু চুরি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ সোহেল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে রাতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সংঘবদ্ধ একদল গরু চোর গত ২৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম খাঞ্জাপুর গ্রামের জসিম চৌকিদারের গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর সংঘবদ্ধ চোরেরা গোয়ালঘর থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ২টি ষাঁড় ও ১টি গাভী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর মালিক টের পেয়ে ডাক চিৎকার দিলে ২টি ষাঁড় বাড়ির উঠানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে চোরাই গাভী খুঁজতে গিয়ে একই গ্রামের ইউনুস আকনের পান বরজের পাশ থেকে চোর সোহেলকে চোরাই গরুসহ আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় গত ২৬ জানুয়ারি ভোরে শেখ সোহেলকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ওইদিনই শেবাচিম হাসপাতালে তাকে (সোহেল) ভর্তি করা হয়।
গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “গরুর মালিক জসিম চৌকিদার বাদী হয়ে শেখ সোহেলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ চোরকে আসামি করে ২৬ জানুয়ারি সকালে গৌরনদী থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেছেন। অপরদিকে চোর সন্দেহে স্বামীকে মারধরের অভিযোগে সোহেলের স্ত্রী জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ শত গ্রামবাসীকে আসামি করে ২৮ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে।”
ঢাকা/পলাশ/ইমন