বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের অধীনে আর খেলতে চান না খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) যদি ইংলিশ এই কোচকে বহাল রাখে, তবে একযোগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ১৮ জন ফুটবলার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সহ-অধিনায়ক মনিকা চাকমাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়রা। তারা জানান, পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করা কিংবা ম্যাচ খেলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

নারী ফুটবলাররা গণমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন, কোচ পিটার বাটলার থাকলে সম্মান নিয়ে ফুটবলকে বিদায় জানাতে চান তারা। ইতোমধ্যেই তারা অনুশীলন ও জিম কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। যদিও বাফুফে কঠোর অবস্থানে ছিল এবং জানিয়ে দিয়েছিল যে, খেললে বাটলারের অধীনেই খেলতে হবে।

তবে সাবিনারা তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। তারা জানিয়েছেন, বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। যদি কোচকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হয়, তবে তারা জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাবেন।

জানা গেছে, গত অক্টোবরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন সময়ে সমস্যার সূত্রপাত হয়। নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্ট চলাকালীন কিছু নারী ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, তিনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর এক সিনিয়র ফুটবলার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পিটার বাটলার কোচ থাকলে ক্যাম্পে উঠবেন না।

সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে অনেকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কোচ পিটার বাটলারকে প্রত্যাখ্যান করেন। তবে বাফুফে তাদের দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পিটার বাটলারের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা সাজ্জাদ বললেন ‘ধর্মের আগে মানবতা’

ভারত–নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বিভিন্ন পক্ষ। তবে, এর মাঝেও আশার আলো ছড়িয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন মুসলিম যুবক। তাদেরই একজন সাজ্জাদ আহমেদ বাট।

তিনি কাশ্মীরের শাল বিক্রেতা। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র সঙ্গে আলাপকালে সাজ্জাদ আহমেদ বলেন, ‘‘আমার কাছে ধর্মের আগে মানবিকতা, মানবতা।’

তিনি বলেন, ‘‘পহেলগাঁও পনি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ ওয়ান একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই ঘটনা জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বিকেল ৩টার দিকে সেখানে পৌঁছাই। আহতদের পানি খাওয়াই এবং যারা হাঁটতে পারছিলেন না তাদের কাঁধে তুলে নিয়ে আসি। তাদের অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’

আরো পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে পাকিস্তানের ‘গুলিবর্ষণ’, ভারতের পাল্টা জবাব

ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করায় কতটা সংকটে পড়বে পাকিস্তান?

সাজ্জাদ বলেন, ‘‘পর্যটকদের কাঁদতে দেখে আমারও চোখ ভিজেছে। কারণ এরাই আমাদের অন্নসংস্থানে সাহায্য করে। এই পর্যটকদের ছাড়া আমাদের জীবন অসম্পূর্ণ।’’

সূত্র: এবিপি আনন্দ

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ